বিপিএলে বাউন্ডারি একটু বড় করতে তাহিরের অনুরোধ

Imran Tahir

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট এমনিতেই ভালো, এবার যেন আরও বেশি রান প্রসবা। ভালো উইকেটের পাশাপাশি বাউন্ডারিও ছিলো বেশ ছোট। মঙ্গলবার প্রথম দিনের দুই ম্যাচেই দেখা গেছে চার-ছক্কার উৎসব। তবে এমন বিরূপ কন্ডিশনেও দারুণ বল করে পাঁচ উইকেট নিয়ে মাতিয়েছেন ইমরান তাহির। দক্ষিণ আফ্রিকান এই লেগ স্পিনার বোলারদের হয়ে কিছুটা মজা করেই বাউন্ডারি বড় রাখার অনুরোধ করেছেন।

মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে রেকর্ডসম ২৩৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওই রান তাড়ায় ১৬৬ পর্যন্ত যায় চট্টগ্রাম। পরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২১৯ রান করে বসে রংপুর রাইডার্স। তাহিরের তোপে খুলনাকে তারা বেধে রাখে ১৪১ রানে।

৪ ওভার বল করে ২৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা তাহির। দিনের আরেক ম্যাচে কুমিল্লার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ২২ রানে পান ৪ উইকেট। লেগ স্পিনাররা ভালো করলেও কাজটা যে ভীষণ কঠিন ছিল তা ব্যাখ্যা করে বলেন তাহির,  'যেকোনো বোলার বা স্পিনারের জন্য কাজটা কঠিন ছিলো। কারণ খুব, খুব ভালো উইকেট। কিন্তু পেশাদার হিসেবে এসব চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। আমি আমার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। অন্য লেগ স্পিনারকে (দিনের ম্যাচে রিশাদ) দেখেছি সে উইকেট-টু-উইকেট বল করেছে। এই সংস্করণে সম্ভবত ঠিক কাজ যেমন উইকেট ছিলো। সহজ কাজ ছিলো না। আমার কাজটা ছিল মাঝের ওভারে উইকেট নেওয়া। উইকেট নিতে না পারলে রান আটকানোর চেষ্টা থাকত। তবে আমি উইকেট নিতে পছন্দ করি।'

'বৈচিত্র্য থাকতেই হয়, যখন খুব একটা স্পিন হয় না আপনাকে বৈচিত্র্যের আশ্রয় নিতে হয় কারণ উইকেটটা বোলারদের জন্য কঠিন ছিলো। এসব উইকেটে যেকোনো দল দুইশো রান তাড়া করতে পারে।'

এদিন দুই পাশের বাউন্ডারির দূরত্ব কিছুটা জুতসই থাকলেও সোজা বাউন্ডারি ছিলো বেশ ছোট। মিস টাইমিং হওয়া শটগুলোও অনায়াসে সীমানা পার হয়েছে।  ম্যাচ সেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে উইকেট ও মাঠ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে একটা অনুরোধ করেন এই লেগ স্পিনার,  '২১৯ আমার মনে হয় পর্যাপ্ত ছিলো তবে এই পিচের ইতিহাস বলে কোন কিছুই নিরাপদ না বিশেষ করে বাউন্ডারি খুব ছোট ছিলো। বোলার হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে বাউন্ডারি একটু বড় করতে অনুরোধ করব।'

দুই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে আপাতত চলে যাচ্ছেন তাহির। তবে প্লে অফ রাউন্ডে আবার তাকে পাবে রংপুর,  'আমি রংপুরকে কৃতজ্ঞতা জানাই সুযোগ দেওয়ার জন্য। এসেই খেললাম, দেখলাম সেটআপ খুব পেশাদার। সবাই ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে। আমি হয়ত দুই-তিন ম্যাচ মিস করব। তবে আমি আবার ফিরে আসব।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

56m ago