নৈতিক স্খলনজনিত কারণে জাবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমানকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নৈতিক স্খলনের দায়ে মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান জনি জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মাহামুদুর রহমানের সঙ্গে নিজ বিভাগের এক নারী প্রভাষকের ছবি ফাঁস হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী অন্য এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিছু কথোপকথন প্রকাশিত হয়, যেখানে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর তথ্য উঠে আসে।
এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এসব বিষয় যাচাইয়ে 'সত্যাসত্য' কমিটি গঠিত হয়।
পরে গত বছরের আগস্টে এ বিষয়ে 'স্ট্র্যাকচার্ড' কমিটি করা হয়। স্ট্র্যাকচার্ড কমিটি হওয়ার ছয় মাস পর মঙ্গলবার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মাহামুদুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে ওই দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী একটি গ্রাফিতি করার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের (একাংশ) সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাদের দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সভার সদস্যসচিব আবু হাসান।
Comments