আহমদ শরীফের চোখে জসীম উদদীন

অসাম্প্রদায়িকতার মূল্যায়নপূর্বক অতীতের আলোয় নিজেদের বর্তমানকে সমৃদ্ধ করা; অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে একসূত্রে গেঁথে বাঙালিত্বের গৌরবের ডালিতে তাকে মহিমা ও মর্যাদা দান করা। যা হয়নি আজও

ইতিহাসের নানা ঘটনা পরিক্রমা পেরিয়ে স্বাধীন দেশ পেয়েছি আমরা। প্রকৃতার্থে বললে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যুদয় ঘটেছে। বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা অর্জন করেছে। সময়ের নিরিখে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন ও বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রাপ্তি অর্ধশতক ও প্রায় পৌনে একশতক পূর্ণও করেছে। কিন্তু এখনও নির্মাণ করা যায়নি আমাদের আত্মসত্তার মৌলিক কাঠামোসমূহ। দাঁড় করানো হয়নি আমাদের গর্ব ও গৌরবের ক্ষেত্রগুলিকে।

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের প্রধানতম এই অর্জনের পেছনে ছিল দীর্ঘ এক নবজাগরণ, যা নিয়ে নেই আমাদের কোনোপ্রকার অনুসন্ধান। নবজাগরণের চারিত্র্যকাঠামো ও চরিত্রসমূহ নিয়ে হয়নি কোনো প্রকার গবেষণা। অথচ স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে মনোযোগ দেয়া দরকার ছিল এসব বিষয়ে। 

প্রয়োজন ছিল আত্মসত্তার কাঠামো নির্মাণের মধ্যে দিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক জায়গাগুলোতে অভিঘাত রাখার। যার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম খুঁজে পেত জাতি হিসেবে কেন আমরা মহান ও স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত তার সদর্থক কার্যকারণসমূহ। নির্মাণ করা প্রয়োজন ছিল নিজস্ব সংস্কৃতির সকল অনুষঙ্গ, উপাদান ও উপকরণ সমূহকে। 

জাতীয়তা, দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতার মূল্যায়নপূর্বক অতীতের আলোয় নিজেদের বর্তমানকে সমৃদ্ধ করা; অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে একসূত্রে গেঁথে বাঙালিত্বের গৌরবের ডালিতে তাকে মহিমা ও মর্যাদা দান করা। যা হয়নি আজও। এ কারণে জসীম উদদীনের মতো কবিকে আমরা এখনও বাঙালিত্বের আয়নায় চিনে নিতে পারেনি। এই প্রেক্ষাপটে আহমদ শরীফের জসীম উদদীন  মূল্যায়ন হতে পারে সবিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রভাববিস্তারি এক সুলুকসন্ধান।  

আহমদ শরীফ মনে করেন : 'জসীম উদ্দীন (উনি এভাবেই লিখেছেন) বাঙলা সাহিত্যের এক অনন্য কবি, ভাবে-ভাষায়-ভঙ্গিতে তাঁকে আপাত দৃষ্টিতে লোকগাথার উত্তর সাধক ও উত্তরসূরি বলে প্রতীয়মান হলেও অঙ্গে ও অন্তরে এর রূপ-রস যে ভিন্ন তা সব সূক্ষ্ণ দৃষ্টির, মার্জিত রুচির এবং প্রচ্ছন্ন রূপের ও রসের সমঝদার নিপুণ পাঠক অনুভব ও উপলব্ধি করেন। এ জন্যেই কুমুদরঞ্জন মল্লিক, করুণানিধান কিংবা যতীন্দ্রমোহন বাগচী, কালিদাস রায় প্রমুখের কবিস্বভাবের থেকে তাঁর স্বভাবের ও সৃষ্টির পার্থক্যও গুহায়িত থাকে না।'

জসীম উদদীনের কবিত্বকে বাঙালির অপর নাম বললেও অত্যুক্তি হওয়ার নয়। তিনি বাঙালি সংস্কৃতির আদি ও অকৃত্রিম রূপটাই তুলে এনেছেন তাঁর সৃষ্টিতে, বিশেষত কবিতায়। বাঙালি যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে ঔপনিবেশিক শাসনের কাঠামোর মধ্যে ছিল। কেবল ব্রিটিশের দু'শ বছর নয়, তার পরে এবং তারও আগে বলা যায়, অতীত ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে বিজাতী-বিভাষী-বিদেশী-বিধর্মী-বিসংস্কৃতির মানুষ দ্বারা শাসিত ও শোষিত হয়েছে। একারণে, তার ভেতর জন্ম নিয়েছে ঔপনিবেশিক এক মন। যা তাকে অহঙ্কৃত করে, নিজেদের নির্মিত মর্যাদার জায়গাতেও পৌঁছে দেয়। এ কারণে স্বাধীন হলেও তার মন, স্বভাব, বৈশিষ্ট্য এবং খাসলতের পুরোটা কিংবা অনেকখানি ঔপনিবেশিকতার ভূত দ্বারা আচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রিত। ফ্রানস ফাঁনো বলেছেন, 'স্থানীয় বুদ্ধিজীবীর কাজ কেবল বিদেশি শ্বেতাঙ্গ পর্যবেক্ষকদের প্রতিস্থাপন করা না বরং সমাজের জন্য নতুন আত্মা নির্মাণ করা।'

আমরা এই আত্মা নির্মাণের কাজটা করতে পারেনি। এ কারণে জসীম উদদীনের আত্মাও আবিষ্কৃত হয়নি, যেখানে বাঙালি ও বাংলার জনমানসের আত্মা লুক্কায়িত আছে। আহমদ শরীফ জসীম উদদীন  অবলোকনের মধ্যে দিয়ে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের সেই আত্মা অনুসন্ধানের কাজটিই করেছেন। তিনি বলেন : 'পল্লীর মানুষের সুখ-দুঃখের, আনন্দ-বেদনার, ঝগড়া-বিবাদের, দ্বেষ-দ্বন্দ্বের, আশা-প্রত্যাশার রূপকার কবি-ঔপন্যাসিক-নাট্যকার ছিলেন জসীম উদ্দীন। তিনি পরদুঃখকাতর বেদনায় ব্যথিত কবি। মানুষের জীবনের দুঃখ-বেদনা-হতাশার ও বিয়োগ-বিষাদান্ত পরিণতির আলেখ্যই তিনি অঙ্কিত করেছেন সারাজীবন। 

কোমল-করুণহৃদয় এ কবি তাই তার রচনায় পরের ব্যথায় ব্যথিত, পরের দুঃখে কাতর। রূপ, রস ও ভঙ্গিগত না হলেও কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সঙ্গে জসীম উদদীনের মূলগত একটা সূক্ষ্ণ মানসসাদৃশ্য রয়েছে। যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত দুঃখবাদী কবি বলে সাধারণ্যে পরিচিত, জসীম উদদীনও অবশ্যই শোষিত-বঞ্চিত আশাহত মানুষের দরদী কবি। দুঃখী পল্লী মানুষের চিত্র কুমুদ রঞ্জন মল্লিক, কালিদাস রায় এবং আরও কেউ কেউ অঙ্কিত করেছেন বটে, কিন্তু জসীম উদদীনের কবিতার সাথে ওদের কবিতার ভাব-ভাষা ভঙ্গিগত পার্থক্য সুপ্রকট। বাঙলাদেশে কোন কোন কবি জসীম উদদীনের অণুকরণে ও অনুসরণে অগ্রসর হতে গিয়েও তেমন সফল হননি। এতেও তাঁর অননুকরণীয় অনন্যতাই প্রমাণিত।'

আহমদ শরীফের এই অবলোকন জসীম উদদীন পাঠের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা তাঁকে পল্লীকবির তকমা দিয়ে দূরে ঠেলে দিয়েছি এবং ক্রমাগত উপেক্ষা করে যাচ্ছি। আবু হেনা মোস্তফা কামালের জসীম উদদীন মূল্যায়ন আমাদেরকে চমকিত করে যখন আমরা দেখি তিনিও আহমদ শরীফের পথে হেঁটেছেন স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেই। 'জসীম উদদীনের কবিতা : জীবন ও শিল্প' প্রবন্ধে তিনি বলেন : 'বিশ শতকের প্রথমদিকে আশাভঙ্গের তুমুল বেদনায় বিচলিত হিন্দু মধ্যবিত্তের মনোজগতে গ্রামের প্রতি নতুন আগ্রহ জাগতে থাকে, তা কেবলমাত্র সাধারণ নস্টালজিয়ার পরিণাম নয়- বরং আত্মানুসন্ধানেরই প্রয়াস। যতীন্দ্রমোহন বাগচী, কুমুদরঞ্জন মল্লিক, করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, অথবা কালিদাস রায়ের কবিতায় তার সমর্থন মেলে। মার্জিত রুচিশীল ভাষায় নিখুঁত ছন্দের কলাকৌশলে কোনো গ্রামীণ দৃশ্য অথবা ঘটনাকে তাঁরা কাব্যগত করেছেন কিন্তু তাঁদের শিল্পদৃষ্টির ভেতরে নাগরিক বৈদগ্ধ ও বিস্ময়বোধক সহজেই চোখে পড়ে। সমগ্র আধুনিক বাংলা কাব্যের ইতিহাসে জসীম উদদীনের সাধনা তাই স্বাতন্ত্র্য ও সাফল্যের বিচারে বিশিষ্ট।'

আহমদ শরীফ ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিদগ্ধ পণ্ডিত। উনারা যখন জসীম উদ্দীনকে নিয়ে এই অন্বেষণ হাজির করেন তখন স্পষ্ট যে, তিনি কবিতায় বাঙালিত্বকে যেভাবে ধারণ করেছিলেন, তা মূলত আমাদের আত্মসত্তা নির্মাণের চাবিকাঠি বিশেষ।

আমরা জানি, আহমদ শরীফ মধ্যযুগের সাহিত্য নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন, যা তাঁকে মান্যতা দিয়েছে এক্ষেত্রে প্রভাববিস্তারী ও অপ্রতিদ্বন্দ্বি একজন গবেষক হিসেবে। তিনি যখন জসীম উদদীনকে এভাবে অবলোকন করেন তখন এটাই পরিষ্কার হয় যে, স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা যা কিছু নিয়ে গর্ব ও গৌরব করতে পারি জসীম উদদীনের কবিতা তার অন্যতম। তিনি মনে করেন : 'জসীম উদ্দীন সূক্ষ্ণ জীবন ভাবনার ও জগৎচেতনার কবি নন, উঁচু মানের ও মননের, সূক্ষ্ণ শিল্পের ও পরিমার্জিত সুরুচির আকাশচারিতা প্রসূত সাহিত্য রচনা তাঁর মতো পল্লীর পরিসরে মাটির মানুষ, প্রেম ও প্রকৃতি, ফুল ও পাখি প্রিয় কবি-লেখকের পক্ষে স্বাভাবিক বা সম্ভব ছিল না। অতত্রব তিনি বিশেষ জীবন-প্রতিবেশে লালিত বিশেষ স্থানের, কালের ও সমাজের মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, দলগত বা ব্যক্তিগত জীবনের সুন্দর, সুষ্ঠু ও সার্থক এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বি রূপকার। এ অনন্যতার জন্যেই তিনি পাঠক সমাজে প্রিয় ও প্রখ্যাত।'

প্রসঙ্গত, জসীমউদদীন সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মূল্যায়ন হল, 'প্রকৃত কবির হৃদয় এই লেখকের আছে। অতি সহজে যাদের লেখবার শক্তি নেই, এমনতর খাঁটি জিনিস তারা লিখতে পারে না।' রবীন্দ্রনাথ উল্লেখিত এই 'খাঁটি জিনিস মূলত' বাংলার মানুষের যাপিত জীবন। যা জসীম উদদীন পর্যবেক্ষণ করেছেন অসামান্য দরদী হৃদয়ে। যাকে বলা যেতে পারে তৃতীয় নয়ন। যাতে ধরা পড়েছে বাঙালির আটপৌরে জীবনের সকল বৈভব। যা মূল্যায়নে আহমদ শরীফ তীক্ষ্ণধী একজন গবেষকের দায় ও দায়িত্ব পালন করেছেন, বাঙালির জাতীয় ইতিহাসকে গৌরব দান করার নিমিত্তে।

'মাটিলগ্ন মানুষের দরদী কবি : জসীম উদদীন' প্রবন্ধের একেবারে শেষাশেষি আহমদ শরীফের মূল্যায়ন প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেন, 'পল্লীর ও পল্লীর মানুষের জীবনের রূপকার হিসেবে তিনি মাটি-মানুষ প্রেমী জনদরদী কবি। মাটিলগ্ন গৃহগত নির্জিত মানুষের জীবনের ভাষ্যকার-রূপকার কবি। পল্লীর দুস্থ মানবতার প্রতি অশেষ সহানুভূতি ও সহমর্মিতাই তাঁর ভাব-চিন্তা-কর্ম-আচরণের পূঁজি। আমরা জানি, হৃদয়বেদ্য চিরন্তন সাহিত্যমাত্রই বেদনার, বিষাদের, বিয়োগের ও জীবনের ট্রাজেডির।' শেলীর কণ্ঠেও একই সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে :

'We look before and after,
And pine for what is not:
Our sincerest laughter
With some pain is fraught;
Our sweetest songs are those that tell of saddest thought. (St.18)

আহমদ শরীফ যথার্থই বলেছেন চিরন্তন সাহিত্য মাত্রই বেদনার, বিয়োগের, ট্রাজেডির। যদিও জসীমউদদীন বিয়োগান্তক কাব্য 'মৈমনসিংহ গীতিকা'র আদলে উনার সাহিত্য নির্মাণ করেননি, সেখানেও স্বতন্ত্র ও স্বয়ম্ভু এক সৃজনশিল্পের স্বাক্ষর রেখেছেন। যা উক্ত হয়েছে আবু হেনা মোস্তাফা কামালের মূল্যায়নে। তিনি বলেন : 'জসীমউদদীনের কাব্যপ্রকরণ সবটাই আধুনিক।

আহমদ শরীফ জসীমউদ্দীনকে অবলোকন করেছেন এই ভ্রান্তি ও স্বভাবজ পঙ্গুত্বকে খারিজ করার লক্ষ্যে। যার মধ্যে উদ্ভাসিত হয়েছে তাঁর পাণ্ডিত্যের জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি প্রীতির মৌল প্রজ্ঞা।

সেখানেই সৃষ্টির মৌলিক ব্যবধান। মৈমনসিংহ গীতিকার কাহিনীগুলির ভেতরে ঘটনার ন্যূনতা নেই, কিন্তু পরিচর্যার অভাবে ঐসব ঘটনা তীব্র নাট্যরস সৃষ্টি করতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রেই শ্রোতা-পাঠককে কল্পনায় সেই ফাঁকগুলি পূরণ করতে হয়। জসীমউদদীন আধুনিক কবি; কাব্যের নাটকীয় মুহূর্ত এবং গীতিময় অবকাশ তিনি চূড়ান্ত সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। তাই তাঁর কাব্য পাঠের পর পাঠকের চিত্ত পরিপূর্ণ আনন্দের ভারে নম্র হয়ে আসে। আশ্চর্য সঙ্গীতের কুহকে সমস্ত সংশয় ও অতৃপ্তি শান্ত হয়ে যায়।'

'বালুচর' গ্রন্থের 'প্রতিদান' কবিতায় জসীমউদদীন লিখেছেন, 'আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর,/ আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।/ যে মোরে করিল পথের বিবাগী;/ পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি;/দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হয়েছে মোর;/ আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর।' এখানে বৈষ্ণব পদাবলীর, 'ঘর কৈনু বাহির, বাহির কৈনু ঘর/ পর কৈনু আপন, আপন কৈনু পর' এর ছায়া থাকলেও জসীমউদ্দীনের 'প্রতিদান' মূলত বাঙালির মানসের চিরন্তন চাওয়া। এই চাওয়াকে বাঙালির গর্ব ও গৌরবের শাশ্বতরূপে হাজির করতে হলে আহমদ শরীফের জসীমউদ্দীন মূল্যয়নকে বিশ্লেষণ করতে হবে গভীরভাবে; জাতীয়তাবোধ, দেশপ্রেম, ভাষাপ্রীতি ও জনদরদকে সামনে রেখে।

জসীমউদ্দীন মূল্যায়নে আমাদের যে দ্বিধা ও সংশয় তা প্রতিভাত হয় উনাকে স্মরণ করার কার্পণ্যের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া দেশ জাতি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে জসীমউদ্দীন ও তার সৃষ্ট রত্নরাজিকে প্রতিস্থাপন করা দরকার যেভাবে তা না হওয়ায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, আমরা এখনও আমাদের আত্মসত্তা নির্মাণের সঙ্গে ঔপনিবেশিক কাঠামো ও তত্ত্বের যে রাজনীতি ও চাপানউতোর খেলা রয়েছে তার খাসলত বুঝে উঠতে পারেনি। আহমদ শরীফ জসীমউদ্দীনকে অবলোকন করেছেন এই ভ্রান্তি ও স্বভাবজ পঙ্গুত্বকে খারিজ করার লক্ষ্যে। যার মধ্যে উদ্ভাসিত হয়েছে তাঁর পাণ্ডিত্যের জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি প্রীতির মৌল প্রজ্ঞা।

Comments

The Daily Star  | English

UNGA vote: A symbolic win for Palestinians

The UN resolution allows Palestine in the world body to take part fully in debates, propose agenda items and have its representatives elected to committees.

5m ago