গ্যাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

গজারিয়ায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে দফায় দফায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার মহাসড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অবরোধকারীদের হামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলে ১৮ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘোষণা ছাড়াই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। 

আজ মঙ্গলবার সকালে তিতাসের কর্মীরা উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নে অবৈধ সঞ্চালন লাইন উচ্ছেদ করতে গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে। 
এ সময় আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ তিতাস কর্মীদের ঘিরে ফেলেন। 

পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের দড়ি বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। 

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করা হলেও, বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবার মহাসড়কের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। 

সে সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলিবর্ষণ ও কয়েকটি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খান, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই কামরুল, এএসআই মাসুম মিয়া, কনস্টেবল রাধা রমন, কনস্টেবল কাঞ্চন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী শয়ন এবং ১৮ বিক্ষোভকারী আহত হন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকেই আমরা এলাকাবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তাতে লাভ হয়নি। বেশ কয়েকবার মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরও তারা বারবার মহাসড়কে আসে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

2h ago