জাবির দুই হলের মাঝের দেয়াল অপসারণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে দুই হলের কয়েকটি রুমের জানালার কাঁচ ভাঙচুর হয়েছে বলে জানা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শেখ রাসেল হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের মাঝের দেয়াল অপসারণ নিয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে দুই হলের কয়েকটি রুমের জানালার কাঁচ ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল এবং রাত সাড়ে ৮টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

রাত ১টায় এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।

শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা জানায়, শহীদ রফিক-জব্বার হলের দেয়ালের কারণে তাদের ও শহীদ তাজ‌উদ্দিন আহমদ হলের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

ক্লাসে, লাইব্রেরিতে কিংবা খাবার খেতে যাওয়ার জন্য দেয়ালের কারণে তাদের অনেক দূর ঘুরে যেতে হয়। অল্প দূরত্বে মূল সড়ক থাকলেও দেয়ালের কারণে সেখানে যাওয়া যায় না।

হলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, এই দেয়াল অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সই নিয়ে হল প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে মঙ্গলবার স্মারকলিপি জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা। 

বিষয়টি জানতে পেরে ওই দেয়ালে চিত্রকর্ম আঁকার প্রস্তুতি নেয় শহীদ রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা। 

এ নিয়ে উভয় হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং পরে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। 

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। 

দীর্ঘদিন ধরে দেয়াল অপসারণের দাবি জানানোর পরও দাবি না পূরণ হওয়ার কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর আবার দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল বিনিময় শুরু হয়। 

জানতে চাইলে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে হলে এসেছি। শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।'

শহীদ রফিক জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি হলে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছি।'

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

12h ago