কুমিল্লায় গুলিবিদ্ধ ২, তাহসীন বাহার-নিজাম সমর্থকদের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা আটক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে তাহসীন বাহার এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন আহত হন।
এ ঘটনায় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আবু সুফিয়ান অন্তুকে (২৭) রাজাপাড়ায় তার বাসার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল তাকে আটক করে।
তবে আটক অন্তুর মায়ের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনায় তার ছেলে জড়িত নয়। অন্তু সেসময় বাড়িতে ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে একটি সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। ঘটনার পরই আমরা সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছি।
অন্তুকে কেন বা কোন অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে শনাক্তের চেষ্টা করছি।
আজ সকালে কুমিল্লা শহরতলীর নেউরা মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তির নাম জহিরুল ইসলাম ও মো. তুহিন।
গুলিবিদ্ধ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি ভোটকেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় বাস মার্কার নেতাকর্মীরা গুলি চালায়।'
গুলিবিদ্ধ দুই জন তার কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করেছেন ঘোড়া প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন কায়সার।
তবে ডেইলি স্টার গুলিবিদ্ধ দুই জনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে একজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, আরেকজন ফোন কল ধরেননি।
ছাত্রদল নেতা অন্তুকে আটকের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হান্নান ভুঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'আমরা কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে আসছি। ভোট দেওয়ার আগে ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে আমরা জানতে পারি নাই কারা করছে। অন্তুসহ আমরা নির্বাচনী কেন্দ্রের অনেক বাইরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ পুলিশের গাড়ি এসে অন্তুকে তুলে নিয়ে গেল। তখন আমরা পুলিশকে বললাম কেনো আটক করলেন? তারা সেই ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। পুলিশ জানিয়েছে তারা তদন্ত করে কিছু পেলে অন্তুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে আর সম্পৃক্ততা না পেলে তাকে ছেড়ে দেবে।'
Comments