আপিল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত ড. ইউনূসের সাজা ও জরিমানা স্থগিত

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট
ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

তবে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস ও অন্য তিন জনের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা ও জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত।

ঢাকার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিলগুলো বিচারাধীন অবস্থায় আছে।

হাইকোর্ট শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।

রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ বলেন, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ অন্য তিন জনের সাজা বহাল থাকবে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী আসামিদের জামিন বহাল থাকবে।

একই সঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্টদের চাকরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা পরিপালনের জন্য শ্রম আদালতের নির্দেশনা স্থগিত করেন আদালত।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বৈধতা নিয়ে রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) করা ফৌজদারি রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

হাইকোর্ট বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূস ও এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহান জামিনে থাকায় তাদের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাজা স্থগিত থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় অভিযুক্ত ড. ইউনূসসহ তিনজন বিদেশে গেলে তাদের অবশ্যই শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে জানাতে হবে।

একইসঙ্গে এ মামলায় ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ তিন কর্মকর্তার দণ্ড ও সাজা স্থগিত করে ট্রাইব্যুনালের আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেন আদালত। 

রুলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের স্থগিতাদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

 

Comments