এনদ্রিকের প্রথম গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

ছবি: এএফপি

দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামার মাত্র নয় মিনিটের জাল খুঁজে নিলেন এনদ্রিক। আগামী জুলাইতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিতে যাওয়া ১৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের গোলই গড়ে দিল ব্যবধান। তার নৈপুণ্যে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলেন ব্রাজিলের নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়র।

শনিবার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জমজমাট প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে সেলেসাওরা। ৮০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শট প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। এরপর আলগা বল ফাঁকা জালে ঠেলে দেন এনদ্রিক। রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হয়ে তিন ম্যাচে এটি তার প্রথম গোল।

আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে টানা চার ম্যাচ জয়হীন থাকার পর এবার শেষ হাসি হাসল ব্রাজিল। গত বছরের শেষ তিনটি ম্যাচের সবকটিতেই তারা হেরেছিল যথাক্রমে আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের কাছে। এর আগে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্র করেছিল দলটি।

হারের মধ্যে হাবুডুবু খেতে থাকা ব্রাজিলের নতুন কোচ হিসেবে গত জানুয়ারিতে নিয়োগ পান দরিভাল। তার অধীনে প্রথম ম্যাচেই ভাঙা পড়ল ব্যর্থতার বৃত্ত। অথচ চোটের কারণে মার্কিনহোস, অ্যালিসন, কাসেমিরো, এদারসন ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলির কেউই খেলতে পারেননি।

এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার ছিটকে যাওয়ায় একাদশ সাজানোই কঠিন ছিল দরিভালের জন্য। সব মিলিয়ে সাতজনের অভিষেক হয়েছে ব্রাজিলের জার্সিতে। তাদের মধ্যে শুরুর একাদশে ছিলেন গোলরক্ষক বেন্তো, তিন ডিফেন্ডার ওয়েন্দেল, লুকাস বেরালদো, ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো ও মিডফিল্ডার জোয়াও গোমেস। পরবর্তীতে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন স্যাভিও ও পাবলো মাইয়া।

নানা প্রতিকূলতা সামলে ব্রাজিল উপহার দেয় ভালো পারফরম্যান্স। গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৪টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে লুকাস পাকেতার শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত তারা। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড বল দখলে কিছুটা এগিয়ে ছিল। তারাও গোলমুখে ১৪টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখতে পারে তিনটি।

চোটের কারণে হ্যারি কেইনকে ছাড়া খেলতে নামা ইংলিশরাও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোল আনতে পারেননি অ্যান্থনি গর্ডন, বেন চিলওয়েল ও জন স্টোনসের কেউই। বরং শেষ বাঁশি বাজার আগে ব্যবধান বাড়াতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু পিকফোর্ডকে একা পেয়েও ফের গোলের উল্লাস করা হয়নি এনদ্রিকের।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago