প্রাকৃতিক দুর্যোগ

‘এই প্রথম ৩০০ গ্রাম ওজনের শিলা দেখেছি’

কৃষকরা জানান, ধানে নতুন ফুল এসেছে। এ বৃষ্টিতে ফুলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ফসলি জমিতে দুই-চার দিন সেচ লাগবে না।
কোথাও কোথাও বেশ বড় আকৃতির শিলা পড়তে দেখা গেছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কয়েকটি এলাকায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর বজ্রসহ মুষলধারে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বেশ বড় আকৃতির শিলা পড়তে দেখা গেছে। 

চৈত্রের এ বৃষ্টি জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেও আতঙ্কে ছিলেন পথচারীরা। জেলার বিভিন্ন স্থানে টিনের ঘরের চাল, সড়কে গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেছে। এ ছাড়া, একাধিক স্থানে সড়কের ওপর তোরণ ভেঙে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ধানে নতুন ফুল এসেছে। এ বৃষ্টিতে ফুলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে ফসলি জমিতে দুই-চার দিন সেচ লাগবে না।  

রাত ১০টার দিকে গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দেখা যায়, হঠাৎ বৃষ্টিতে পথচারীরা দৌড়ে বিভিন্ন দোকানে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে দাঁড়িয়েছেন ফ্লাইওভারের নিচে।

কোথাও কোথাও ৩০০ গ্রাম ওজনের শিলা পড়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার নীলের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল মিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, 'গতকাল রাতে ব্যাপক শিলা বৃষ্টিসহ ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। ৮০ দশকের পর এই প্রথম দেখেছি ৩০০ গ্রাম ওজনের শিলা। একটা তাণ্ডব চালিয়ে গেছে এ বৃষ্টি।'  

শহরের চান্দনা চৌরাস্তায় পথচারী আল সাদি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ করে শিলা পড়তে থাকায় অনেক ভয় পেয়ে যাই। সড়কের মাঝে দাঁড়াব কোথায়, পরে তাড়াতাড়ি ফ্লাইওভারের নিচের দাঁড়াই। এত বড় শিলা আগে কখনো দেখিনি।'

জয়দেবপুর শহরের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, 'আমার দোকানের সামনে অনেক শিলা পড়েছে। আমি দোকান থেকেই দেখেছি, আতঙ্কিত লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে দৌড়াচ্ছে।'

শিলার আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে টিনের চালা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কাপাসিয়ায় ফকির মজনু শাহ সেতু সংলগ্ন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভাস্কর্যের সামনে সড়কের ওপর একটি শুভেচ্ছা তোরণ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

বজ্রপাতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে ডেইলি স্টারকে জানান গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন।

গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, 'গতরাতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানার জন্য আজ সকালে জেলার সব উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এখনো উপজেলা থেকে তথ্য আসেনি।' 

Comments