‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা যারা মানতে পারেনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের স্লোগান তাদেরই’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, 'মাত্র ৯ মাসে আমরা দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। এটাই অনেকের গাত্রদাহ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং ভারতের বীর জনগণ যেভাবে আমাদের সাহায্য করেছিল ও সহযোগিতা করেছিল সেটা যারা মানতে পারেনি, তাদেরই আজকে ভারতের পণ্য বর্জন করার স্লোগান।'

আজ শনিবার টাঙ্গাইলের আশেকপুর এলাকায় একাত্তরের কাদেরিয়া বাহিনীর জাদুঘর নির্মাণের স্থান পরিদর্শনে এসে সেখানে কাদেরিয়া বাহিনী আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, 'এর অন্তর্নিহিত কারণ জাতিকে বুঝতে হবে। আজকে আবার সেই পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে। তাদের মুরুব্বি যারা, আন্তর্জাতিক মুরুব্বিরাও যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজকে অত্যন্ত সক্রিয়। তাই রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যে বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি, সে বাংলাদেশ ভিন্ন পথে চলে যাবে তা হতে দেওয়া উচিত নয়। তাই আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি।' 

তিনি আরও বলেন, '১৯৭৫ এ যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়, আপনার-আমাদের যে দায়িত্ব ছিল মাঠে নেমে প্রতিবাদ করার, আমি অন্তত তা করতে পারিনি। কিন্তু বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী প্রমাণ করেছেন এই অন্যায়-অবিচার মেনে নেওয়া যায় না।'

'এই প্রতিবাদ করার কারণে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন. যাতে বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা কলঙ্কমুক্ত হয়েছি। দায়মুক্তি দিয়েছেন আমাদের। না হয়, ইতিহাসের বিচারে আমরা একটা কলঙ্কিত জাতি থেকে যেতাম', যোগ করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যরা, জেলা প্রশাসক, রাজনীতিবিদ এবং মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।  

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago