চোরাই পথে আসা চিনিতে সরকারের ক্ষতি ৩ হাজার কোটি টাকা: রিফাইনার্স এসোশিয়েশন

পবিত্র রমজানে চিনির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরাই পথে আসা চিনি বিক্রি করছেন।
চিনি
ছবি: ফাইল ফটো

চোরাই পথে আসা চিনির কারণে সরকার বছরে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোশিয়েশন (বিএসআরএ)।

গতকাল বিএসআরএ'র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিন দেশে মিষ্টির চাহিদার বড় অংশ চিনির মাধ্যমে মেটানো হয়। এসব চিনি চোরাই পথে দেশে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন এবং বিপুল মূলধন বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত চিনিকলগুলো বন্ধের হুমকিতে পড়েছে।

পবিত্র রমজানে চিনির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরাই পথে আসা চিনি বিক্রি করছেন।

চোরাই পথে আসা চিনির মান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতারা তা খেয়ে নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।

দেশে এখন প্রতি বছর প্রায় ২৪ লাখ টন চিনির প্রয়োজন হলেও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, আমদানি করা চিনির প্রায় ৯৫ শতাংশই অপরিশোধিত। এটি মূলত ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে আসে।

দেশের কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা চাহিদার দ্বিগুণ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়—অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাই পথে আসা চিনি ফ্রেশ, দেশবন্ধু, তীর ও এস আলমের মতো স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্যাকেটে বিক্রি করছেন।

চিনির চোরাচালান বন্ধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago