কোথায় নিরাপত্তাহীনতা, সারা রাত ধরে শপিং চলে: কাদের
রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্য অনেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, 'ঢাকা সিটিতে এত ভিক্ষুক কেন—যারা এসব প্রশ্ন করেন, তাদের লজ্জা করে না যে তারা একজন গরিব মানুষকেও এই কষ্টে দিনে রোজার মাসে কোনো প্রকার সাহায্য করেনি। তারা ইফতার বিতরণ করেনি। তারা ইফতার পার্টি দিয়েছে। বড়লোকেরা ইফতার খেয়েছে বড় বড় হোটেলে। আর গরিব মানুষ, তাদের মধ্যে আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা ইফতার দিচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ঈদের সময় ঢাকা সিটিতে, বিশেষ করে বড় বড় শহরে দান-খয়রাত-জাকাত এসবের আশায় কিছু গরিব মানুষ আসে কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ রাস্তায় পড়ে, না খেয়ে মরে গেছে, এমন একটা দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে নেই।'
কাদের বলেন, 'আজকে বিশ্ব সংকট, বাংলাদেশে সংকট আছে। তারপরও দেখুন, তেলের দাম বাড়ে, অথচ তেলের দাম—জ্বালানির মূল্য আমরা এখানে সমন্বয় করেছি। সমন্বয় করে কিছু হলেও কমেছে। জিনিসপত্রের দামও আজ কমে যাচ্ছে। যারা আজকে বড় বড় কথা বলেন, গরিবের নামে মায়া কান্না করেন, তারা কি ভুলে যান, তাদের আমলে উত্তরবঙ্গের রংপুর কোর্টে গিয়ে মহিলারা অভাবের তাড়নায় পতিতাবৃত্তিতে নাম লিখিয়েছিল, জিয়াউর রহমানের আমলে। সেই ইতিহাস কি ভুলে যান?'
বিএনপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাদের বলেন, 'আজকে ৮০ শতাংশ নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনে আছে। এখন কেউ অপরাধ করলে, খুনের মামলার আসামি, অস্ত্র মামলার আসামি মানুষ মারার আসামি, আগুন সন্ত্রাসের আসামি হলে সেটা একটা অপরাধ। এই অপরাধের জন্য যারা জেলে যাবে, তাদের জন্য কেন বিএনপি এত মায়া কান্না, আমি জানতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'এই শহরে সন্ধ্যার পরে দেখবেন ফাঁকা। তারাবিহর নামাজের পর সারা রাত ধরে শপিং চলে। কোনো একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাও তো এ পর্যন্ত ঘটেনি; শপিং করতে গিয়ে কারও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে গভীর রাতে অথবা শেষ রাতে।'
নিরাপত্তাহীনতা কারও জীবন বিঘ্নিত হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'তারপরও এরা আজকে রাজনীতির বিরোধিতার জন্য নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছে। কোথায় নিরাপত্তাহীনতা? এত রাতে শপিং করে কীভাবে? কারও জীবন তো বিঘ্নিত হয়নি! কারও নিরাপত্তা তো বিঘ্নিত হয়নি! কাজেই এসব উদ্ভট কথায় আমরা কান দেবো না।'
Comments