থানচিতে পুলিশের সঙ্গে কেএনএফের ১ ঘণ্টা গোলাগুলি

থানচি বাজার এলাকা। গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

বান্দরবানের থানচি বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কেএনএফ সদস্যদের প্রায় এক ঘণ্টা গোলাগুলি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাজার ও আশেপাশের এলাকায়  গোলাগুলি শুরু হয় এবং রাত প্রায় সাড়ে ৯টার দিকে গোলাগুলি থামে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।

ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, 'রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি পাহাড়ের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশের পাহাড় থেকে থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা।'

'পরে পুলিশ থানা থেকে গুলি করে। বাজারে আমাদের টহল টিম ছিল। তারাও গুলি করেছে,' বলেন তিনি।

ডিআইজি আরও বলেন, 'পরে আমরা বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারাও পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে যোগ দেয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।' 

জানতে চাইলে থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ৫০০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। রাতে আমরা এলার্ট আছি। সকাল না হলে বলা যাচ্ছে না যে গোলাগুলিতে হতাহত আছে কিনা।'

এর আগে, রাত ৯টার দিকে থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলির খবর জানান।

তবে কাদের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির গোলাগুলি চলছিল সেটা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।

তিনি বলেন, 'বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।'

এ সময় বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Dev budget expenditure: Health ministry puts up poor show again

This marks yet another year of weak budget execution since the health ministry was split into two divisions in 2017.

9h ago