‘সশস্ত্র তৎপরতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হবে, এটা মনে করার কারণ নেই’

কাদের
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা সম্পর্কে সরকার জানে। সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।'

সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কিছু কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এই সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।'

মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'হঠাৎ করে মেট্রোরেলের ভাড়ায় ১৫% ভ্যাট জুলাই থেকে বাড়বে। এই ঘোষণা কে দিলো এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। গণপরিবহন একটা বিশেষ সেবাধর্মী মেট্রোরেল। মানুষ এর সুবিধা পাচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিলেন আমি জানি না।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আজকে বাংলাদেশে কিছু কিছু দল নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, আন্দোলনে ব্যর্থ। তারা বলেছিল সরকার নির্বাচন করতে পারবে না, তারা তা ঠেকাতে পারেনি। নির্বাচন হয়ে গেছে। তারপর বলেছে পাঁচদিনের সরকার টিকবে না। ৭ জানুয়ারি থেকে তিন মাস হয়ে গেল। বিএনপির এখন চেয়ে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কিছু করার নেই। গণতন্ত্র তারা ধ্বংস করেছে। আর গণতন্ত্রকে শৃৃঙ্খলমুক্ত করেছেন শেখ হাসিনা।'

'সরকার দেশজুড়ে হরিলুট চালাচ্ছে' বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'কীভাবে হরিলুট চলছে? কোথায় হরিলুট চলছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না, সত্য বলুন। ৮০ শতাংশ লোক জেলে....ফখরুল সাহেব মায়া কান্না কাঁদেন। এই ৮০ শতাংশের তালিকা কই? কোথায় হরিলুট চলছে? আমাদের আজকে পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন নেই, রাত নেই অবিরাম কষ্ট করে যাচ্ছেন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।'

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরি সভাপতি সাইফুল আলম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর।

Comments

The Daily Star  | English
How do we avoid a debt trap?

How do we avoid a debt trap?

The debt bubble is ominous, given Bangladesh’s narrow export base and heavy reliance on remittance inflows.

7h ago