অভিষেক টেস্টের পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়ের ৯৫ নম্বরে হাসান
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতার চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয় হাসান মাহমুদের। দেশের মাত্র দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে মোট ৬ উইকেট শিকারের নজির স্থাপন করেন তিনি। সেই পারফরম্যান্সের সুবাদে আইসিসি টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ একশতে ঢুকে পড়েছেন তিনি।
বুধবার ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সেখানে বোলারদের মধ্যে ৯৫ নম্বরে আছেন হাসান। চট্টগ্রামে গত বুধবার শেষ হওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। যদিও আরও একবার নখদন্তহীন ব্যাটিংয়ে ১৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে লঙ্কানদের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ডানহাতি হাসানের আগে টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের পক্ষে সব মিলিয়ে ৬ উইকেট নেওয়া একমাত্র পেসার ছিলেন বাঁহাতি মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি অবশ্য এক ইনিংসেই ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন। ২০০১ সালে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত ওই টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল।
মঞ্জুরুল ও হাসান বাদে অভিষেক টেস্টে মোট ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই বাংলাদেশের আর কোনো পেসারের। এই তালিকার দুইয়ে আছেন সবশেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া নাহিদ রানা। ৪ উইকেট করে আছে মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে সামান্য উন্নতি হয়েছে মুমিনুল হক, জাকির হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলা অলরাউন্ডার মিরাজ ১১ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৮ নম্বরে। প্রথম ইনিংসে ৭ রানে আউট হলেও পরের ইনিংসে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
তিন ধাপ এগিয়ে ওপেনার জাকির আছেন ৭৫তম স্থানে। চার ধাপ উন্নতি হওয়া অভিজ্ঞ মুমিনুল অবস্থান করছেন ৪৬ নম্বরে। এই দুজনই একটি করে ইনিংসে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন, বোলিংয়ে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে ভারতেরই রবীন্দ্র জাদেজা ধরে রেখেছেন শীর্ষস্থান।
Comments