আদালতের স্থিতাবস্থার মধ্যেই বড় মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন জাপানি মা

স্টার ফাইল ফটো

জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালেকা শরীফকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জাপানি মায়ের হেফাজতে সন্তান থাকার বিষয়ে আদালতের স্থিতাবস্থা জারি থাকার মধ্যেই তার বাংলাদেশ ত্যাগের অভিযোগ পাওয়া গেল।

জেসমিনের বাবা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ সুপ্রিম কোর্টে করা একটি আদালত অবমাননার আবেদনে এমন অভিযোগ এনেছেন।

আবেদনের বরাত দিয়ে ইমরানের আইনজীবী রাশনা ইমাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাকানো এরিকো তার বড় মেয়ে জেসমিন মালেকা শরীফকে নিয়ে গত ৯ এপ্রিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে জাপানে যান। অথচ একই দিন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারক সন্তানকে তার হেফাজতে রাখার বিষয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।'

আইনজীবী বলেন, নাকানো এরিকোর চলে যাওয়া আদালতের আদেশের লঙ্ঘন ও অবমাননা।

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, ইমরান ও এরিকো দুজনেই এর আগে এ বিষয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল বিভাগে পৃথক পৃথক লিভ টু আপিল আবেদন করেছিলেন।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, বড় মেয়ে জেসমিন মালেকা (১৪) মা এরিকোর হেফাজতে ও মেঝ মেয়ে লায়লা লিনা শরীফ (১২) ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বাবা ইমরানের সঙ্গে থাকবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম আজ সোমবার তিনটি আবেদনই ২১ এপ্রিল শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি নাকানো এরিকোর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন যে তিনি ১৯ বা ২০ এপ্রিল জেসমিন মালেকাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন।

তিনি জানান, ৯ এপ্রিল যখন চেম্বার বিচারক স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করেন, তখন এরিকোর পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে ইমরান শরীফ আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এরিকোকে বাধা দিতে পারতেন।

বিচারপতি মামনুন রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ের পূর্ণাঙ্গ পাঠে বলেছেন, '...জেসমিন মালেকা শরীফ মায়ের হেফাজতে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছোট মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বাবার সঙ্গে থাকবে।'

আইনজীবী শিশির মনির জানান, তাদের তৃতীয় মেয়ে সোনিয়া (৮) তার নানির সঙ্গে জাপানে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

4h ago