নাটোর

প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

আরেক প্রার্থী দেলোয়ারকে অপহরণের ঘটনায় রুবেল নিজেকে নির্দোষ এবং ওই ঘটনায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক রুবেলের
লুৎফুল হাবীব রুবেল | ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল।

রুবেলের প্রতিনিধি মিনহাজ উদ্দিন আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তার পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এতে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গত সপ্তাহে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ ওঠে রুবেলের বিরুদ্ধে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামীকাল সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। দেলোয়ার যদি এর মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন কিনা।'

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগের মধ্যে লুৎফুল হাবিব রুবেল আজ সকালে এক ভিডিওবার্তায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে, দেলোয়ারকে অপহরণের ঘটনায় রুবেল নিজেকে নির্দোষ এবং ওই ঘটনায় তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন।

এর আগে, শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান প্রতিমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি তার শ্যালক রুবেলকে ফোনে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং তাকে (রুবেল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বলেন।

দলীয় সূত্র জানায়, অপহরণের অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে লুৎফুল হাবিব রুবেল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।


 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago