পটুয়াখালীর খালে ‘টর্পেডো-সদৃশ’ বস্তু, ঘিরে রেখেছে পুলিশ

পটুয়াখালীর খালে ‘টর্পেডো-সদৃশ’ বস্তু, ঘিরে রেখেছে পুলিশ
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজকাটা খালে ভাসছে ‘টর্পেডো-সদৃশ’ বস্তু | ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার নিজকাটা খালে ভাসছে টর্পেডো-সদৃশ বস্তু।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে জোয়ারের পানিতে টর্পেডো সদৃশ-বস্তুটি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে।

এরপর এটি দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করেন।

মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুহিন মাঝি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিজকাটা খালের সঙ্গে সাগরের সরাসরি সংযোগ আছে। জোয়ার ও ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। আজ সকাল ১১টার দিকে জোয়ারের পানির সঙ্গে এটি ভেসে আসে। খবর পেয়ে এটি দেখার জন্য খালের উভয় তীরে শতাধিক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোস্ট গার্ডের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে আসছে।'

তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি একটি যুদ্ধাস্ত্র।'

জানতে চাইলে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের আন্ধারমানিক নদীতে যে টিমটি আছে সেটি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু আমি দেখলাম ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল না। টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, ওটারও আছে। যেকোনো বড় জাহাজ ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌ-বাহিনীর কাছে থাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'টর্পেডো অনেক ভারি বস্তু। সাধারণত এটা পানির নিচে থাকে। যেহেতু এটি ভেসে আসছে, সুতরাং ব্যবহার হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করছি। তাই পানিতে ভেসে ভেসে আসছে। তবে যদি ভেতরে বাতাস থাকে তাহলে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমাদের যে টিম ঘটনাস্থলে গেছে তাদের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

টর্পেডো এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র, যা পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষবস্তুর সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচে চালিত হয় এবং পানির নিচে বা উপরে উভয় স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের উৎক্ষেপকের দ্বারা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।

Comments

The Daily Star  | English

Rampal fouling 2 Sundarbans rivers

The Rampal power plant began operation in late 2022 without an effluent treatment plant and has since been discharging untreated waste into the Pasur and Maidara rivers next to the Sundarbans.

4h ago