পিডিবির বকেয়া ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে ৪৬৪ শূন্যপদে চাকরির সুযোগ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মোট বকেয়া জমেছে ৩৩ হাজার ১০৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সরকারি, বেসরকারি ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি পিডিবির কাছে এই টাকা পাবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই তথ্য জানান।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বকেয়া পাওনার তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সরকারি, বেসরকারি, যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত উৎপাদন কোম্পানি এবং আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্রয় করে তা বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানির কাছে বিক্রয় করে। সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন কোম্পানিগুলোর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫ হাজার ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'একই সময়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর পাওনা ২ হাজার ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আদানিসহ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিভিন্ন কোম্পানির পাওনা ৫ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।'

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না।'

তিনি আরও বলেন, 'এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এ ছাড়া, অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও তাপদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।'

অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সরকার সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহমদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, 'গভীর সমুদ্রে খনিজ সম্পদ আহরণে ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। এক্সন মবিল, শেভরনসহ ১৭টি কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা টুডি জরিপের ফলাফল নিয়েছে। বুধবার তাদের সঙ্গে প্রি-বিড মিটিং আছে। বিডিং প্রসেস আগামী সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোম্পানি নিয়োগ করা যাবে এবং তেল–গ্যাস থাকলে ৭-৮ বছর পর উত্তোলন শুরু করা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
US tariff cut helps Bangladesh garment industry

Will Bangladesh benefit from higher US tariffs on China, India?

The Trump administration’s imposition of higher reciprocal tariffs on India and China, two of Bangladesh’s main competitors in the global readymade garments sector, is definitely a boon for Bangladesh, according to local exporters.

11h ago