মোটর শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

অটো মোবাইল শিল্প, মোটর শিল্প, এফবিসিসিআই,
বৃহস্পতিবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড অ্যাসেম্বলারস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা। ছবি: সংগৃহীত

অটো মোবাইল শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলেছেন, স্থানীয় বাজারে অটো মোবাইল শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু বিশাল এই বাজারের চাহিদা মেটাতে গাড়ি ও যন্ত্রপাতির অধিকাংশ নিয়ে আসতে হয় বিদেশ থেকে। এই শিল্পের বিকাশ ও স্থানীয় বাজার ধরার পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের সহযোগিতা চান এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

সরকারের নীতি সহায়তা পেলে দেশেই অটো মোবাইল প্রস্তুত ও উৎপাদন কার্যক্রম বিকশিত হবে বলে মনে করেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড অ্যাসেম্বলারস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়।

এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বড়। অর্থনীতি বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে মোটর শিল্পের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী আগাতে হবে।'

'স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসায় অতীতেও যেমন চ্যালেঞ্জ ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে থাকবে। এর মধ্যেই বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হবে,' বলেন তিনি।

অটোমোবাইল খাতে ম্যানুফ্যাকচারিং বা প্রস্তুতকরণে ব্যবসায়ীদের কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, 'ব্যবসা চালাতে গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে এবং হবেও। তবে আমদানি সারাজীবন নয়, এখন সময় হয়েছে গাড়ি প্রস্তুতের দিকে মনোযোগী হওয়ার। এজন্য কাউকে না কাউকে কাজ শুরু করতে হবে।'

অটো মোবাইল উৎপাদনে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, 'দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় বাড়ছে। তবে জনসংখ্যার তুলনায় পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ি কিনছে। এক্ষেত্রে রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানি দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করছে। তবে আমদানির সঙ্গে অ্যাসেম্বলিং এবং তারপর প্রস্তুত করার কাজ শুরু করতে হবে।'

ব্যবসায়ীরা বলেন, অটোমোবাইল খাতের বিশাল বাজার রয়েছে সারাবিশ্বে। এসব বাজার ধরতে দেশে যন্ত্রপাতি তৈরিতে ভেন্ডর উন্নয়ন জরুরি। ভেন্ডর উন্নয়নে প্রণোদনাসহ লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত।

এছাড়া অটোমোবাইল খাতের মেইনটেন্যান্সের জন্য আলাদা অঞ্চল নির্ধারণ করে দেওয়া, সময়ের সঙ্গে এসআরওতে পরিবর্তন আনা, দেশে ইলেকট্রিক যানবাহন আমদানি সহজ করা, বিআরটিএতে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা, ব্যাংকগুলোকে একই নীতি অনুসরণ করাসহ অটোমোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের যেকোনো নীতিমালা প্রণয়নে অভিজ্ঞ ব্যবসায়ীদের মতামত নেওয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।  

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago