কাঁকরোল কেন খাবেন

কাঁকরোল
ছবি: সংগৃহীত

গরমের শুরু আর বর্ষার শেষে  কাঁকরোলের দেখা মেলে বাজারে। অনেকের পছন্দের তলানিতে থাকা এই সবজিটি কিন্তু পুষ্টিগুণে টইটম্বুর।

কাঁকরোলের পুষ্টি ও উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন ইবনে সিনা হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা।

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, কাঁকরোলে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লুটেইন, জেনান্থিন থাকে। এই উপাদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই উপাদানগুলো আমাদের দেহে কতটা দরকারি-

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে

কাঁকরোলে প্রচুর আয়রন থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ফলিক এসিড  থাকে। এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়

যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি বা যাদের উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে কাঁকরোল খেতে পারেন। এটি উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল ডিএইচএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁকরোলের পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যানসার কোষের সংখ্যা বৃদ্ধিকে ধীর গতির করতে পারে। এতে নির্দিষ্ট একটি প্রোটিন থাকে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করতে পারে। 

মেদ কমায়

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা বলেন, যদি ওজন কমাতে চান তবে খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কাঁকরোল। প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে কাঁকরোলে। ভিটামিন সি শরীরের অতিরিক্ত মেদ পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। আর রক্তে ভিটামিন সির পরিমাণ কম থাকলে ফ্যাট বার্নিং কম হয়। ফলে ওজন কমে না। তাছাড়া কাঁকরোল ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হাওয়ায় হজমে সহায়ক।

কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ প্রতিরোধ করে

যেহেতু কাঁকরোলে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই এটি কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সক্রিয় জীবনযাপনের পাশাপাশি কাঁকরোল খাওয়া হৃদস্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

কাঁকরোলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভিটামিন, বিটাক্যারোটিন ও অন্যান্য উপাদান থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের ছানি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ধরে রাখে তারুণ্য

কাঁকরোল কোলাজেনের গঠনকে পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বয়সের ছাপ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে এতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে টানটান করে রাখতে সহায়তা করে।

শরীর শীতল রাখে

কাঁকরোলে রয়েছে প্রচুর মিনারেল। বর্ষাকালেও ভ্যাপসা এক ধরনের গরম থাকে। এই গরমে শরীর শীতল রাখার জন্য খেতে পারেন কাঁকরোল। কারণ এসময় কাঁকরোল খেলে তা শরীরকে ভেতর থেকে শীতল রাখতে কাজ করে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ

প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো কাঁকরোল। এই সবজিতে খেলে মিলবে পর্যাপ্ত প্রোটিন। কাঁকরোল খাওয়ার পর কর্মশক্তি বাড়বে অনেকটাই। সারাদিন থাকতে পারবেন কর্মচঞ্চল।

 

Comments

The Daily Star  | English
engineering universities complete shutdown in Bangladesh

Engineering universities under ‘complete shutdown’

Buet postpones exams scheduled to be held from August 30 to September 18

1h ago