কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বাংলাদেশি, ভারতীয় ও পাকিস্তানিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস জনতার হামলার ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ আবাসস্থলের ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ শনিবার রাতে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশকেকে সাম্প্রতিক গণসহিংসতার বিষয়ে যোগাযোগ রাখছে।

দূতাবাস এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।

কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের জন্য স্বীকৃত উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে বাড়ির ভেতরে থাকতে এবং এ সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় দূতাবাসের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগের জন্য জরুরি নম্বরে +৯৯৮৯৩০০০৯৭৮০ কল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশকেকে পাকিস্তানের মিশন জানিয়েছে, ১৭ মে রাতে শুরু হওয়া সহিংসতার মধ্যে বিশকেকের কয়েকটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে হামলা হয়েছে—যেখানে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

কিরগিজ সরকার জানিয়েছে, ১৭-১৮ মে রাতে বিশকেকে জনতার সহিংসতায় বেশ কয়েকজন বিদেশিসহ কমপক্ষে ২৮ জন আহত হওয়ার পর চারজন বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রেডিও ফ্রি ইউরোপ জানিয়েছে, ১৩ মে মিশরের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের বিবাদের একটি ভিডিও অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।

যাদের মারধর করা হয়েছে তারা কিরগিজ যুবক বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দাবি করার পর শুক্রবার রাতে বিশকেকের বেশ কয়েকটি স্থানে উত্তেজিত জনতা জড়ো হয়।

স্থানীয় সময় ১৮ মে এই হামলার শিকার হন দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

কিরগিজস্তানের ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামিয়া কবির শনিবার সন্ধ্যায় ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা এখানে পাঁচজন বাংলাদেশি মেয়ে আছি। আমরা এখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে আছি। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে কিছু লোক জড়ো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।'

সামিয়া আরও বলেন, 'কর্তৃপক্ষ আমাদের ভেতরে থাকতে বলেছে। আমরা কাছাকাছি অন্যান্য অ্যাপার্টমেন্ট থেকে কিছু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি। সেখানে কিছু পাকিস্তানি থাকতে পারে।'

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা শিগগির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন শেয়ার করব। উজবেকিস্তানে আমাদের মিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির হতাহতের খবর আমরা পাইনি। আমরা আমাদের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

51m ago