মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন জেনারেল আজিজ আহমেদ

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন জেনারেল আজিজ আহমেদ
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সেনাপ্রধান হিসেবে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভাই বা আত্মীয়দের কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন—কেউ প্রমাণ করতে পারলে যে কোনো কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা বলেন।

নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে আজিজ বলেন, 'আমি অবাক হয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি এখানে দেখতে পাচ্ছি, অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন অনুষ্ঠানে যে অভিযোগ দুটি আনা হয়েছিল, সেটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। যদিও এখানে অত কিছু বিস্তারিত বলা হয়নি কিন্তু একই জিনিস।'

আজিজ বলেন, 'প্রথম অভিযোগ হলো, আমি আমার ভাইকে বাংলাদেশের প্রচলিত যে আইন আছে। তার অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সে যাতে এড়িয়ে চলতে পারে সে জন্য আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে তাকে সহযোগিতা করে দুর্নীতি করেছি। দ্বিতীয় হলো, আমি সেনাপ্রধান হিসেবে আমার ভাইকে সামরিক কন্ট্রাক্ট দিয়ে ঘুষ নিয়েছি; আমি আরেকটি দুর্নীতি করেছি।'

তিনি বলেন, 'প্রথম অভিযোগের বিষয়ে বলবো, আমার সেই ভাই, যদিও এখানে নাম উল্লেখ করা হয়নি, আমি জেনারেল হওয়ার অনেক আগে থেকে বিদেশে এবং নিশ্চয়ই সে বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই বিদেশে গিয়েছে। সেখানে দেশ থেকে চলে যাওয়ার বা দেশের প্রচলিত আইন ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করেছি এই অভিযোগ আমি মেনে নিচ্ছি না। মেনে নিতে পারি না, এটা সঠিক না।

'দ্বিতীয় অভিযোগের ক্ষেত্রে বলবো, আমি চার বছর বিজিবি প্রধান এবং তিন বছর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কেউ যদি একটা প্রমাণ দিতে পারে আমি আমার ভাই বা আত্মীয়কে বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, আমি যে কোনো কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন, ভাইকে কোনো কন্ট্রাক্ট দেইনি' বলেন আজিজ।

গণমাধ্যমকর্মীদের খোঁজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমার ভাইদের কারও বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে ঠিকাদারি করার জন্য, কন্ট্রাক্ট নেওয়ার জন্য কোনো ধরনের লাইসেন্স আছে কি না খোঁজ নিলেই পেয়ে যাবেন।'

গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রকে আজিজ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন কি না? জবাবে তিনি বলেন, 'আমার জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই।'

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন কি না জানতে চাইলে আজিজ বলেন, 'আমি দুটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। আমার মনে হয়, আর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কিছু নেই।'

সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, 'এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি নিশ্চিত, এটা লোকজন বুঝবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cumilla rape: Main accused among two more arrested

Three others were arrested in the same case early today

46m ago