আইপিএল

হায়দরাবাদকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন কলকাতা

kolkata knight riders
ছবি: আইপিএল

চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারিতে প্রথম ওভারেই সুর বেঁধে দিলেন মিচেল স্টার্ক। গতিময় লেট স্যুয়িংয়ের বিষে অভিষেক শর্মার বেলস উড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে সবচেয়ে দাম দিয়ে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্টার্কের দুর্ধর্ষ শুরু সঙ্গত করলেন বৈভব আরোরা, হার্শিত রানারা। আন্দ্রে রাসেল পরে মুড়ে দিলেন বাকিটা। আসরজুড়ে রান বন্যা বইয়ে দেওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ফাইনালের মঞ্চে অল্পে আটকে তুড়ি মেরেই কাজ সারল কলকাতা। আইপিএলের শিরোপা জিতল তৃতীয়বারের মতন।

রোববার চেন্নাইতে আইপিএলের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা। আগে ব্যাটিং বেছে স্টার্ক-রাসেলদের তোপে স্রেফ ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় সানরাইজার্স। শ্রেয়াস আইয়ারের দল ওই রান তুলে নেয় ৫৭ বল  বাকি থাকতে।

দলের সবচেয়ে সফল বোলার রাসেল ১৯ রানে পান ৩ উইকেট। স্টার্ক ১৪ রানে নেন ২ উইকেট, তবে ম্যাচে প্রভাব ছিলো তারই বেশি।  রান তাড়ায় ভেঙ্কেটেশ আইয়ার খেলেন ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস।

১১৪ রানের সহজ লক্ষ্যে সুনিল নারাইন শুরুতে ফিরে গেলেও কোন বিপদে পড়েনি কলকাতা। রাহমানুল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে ঝড়ো ব্যাট করতে থাকেন ভেঙ্কেটেশ। পাওয়ার প্লের মধ্যেও সানরাইজার্সের যদি কোন বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থেকে থাকে তাও উবে যায়।

গুরবাজ এক প্রান্ত ধরে রাখলেও ভেঙ্কেটেশ হয়ে উঠেন উত্তাল। আইপিএলের ফাইনালকে চরম একপেশে বানিয়ে চটজলদি ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার তালে ছুটেন তিনি। ৩২ বলে ৩৯ করে গুরবাজ আউট হলেও ভেঙ্কেটেশ অধিনায়ক শ্রেয়াসকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে ব্যাট বল হাতে নিয়ে ইনিংসের পঞ্চম বলেই ম্যাচের টোন সেট করে দেন স্টার্ক। অবিশ্বাস্য এক ডেলিভারিতে উড়িয়ে দেন বিস্ফোরক ব্যাটার অভিষেক শর্মার টপ স্টাম্প। লেন্থে পড়া গতিময় বল হালকা

বেরিয়ে ঠিক অফ স্টাম্পের উপর হানা দিয়ে উড়িয়ে দেয় বেলস। ব্যাটারের করার ছিলো না কিছুই।   ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের মতে যা টুর্নামেন্টের সেরা বল।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে স্টার্কের বলে প্রথম ওভারে বোল্ড হয়েছিলেন ট্রেভিস হেড, স্বদেশীর গোলার সামনে শুরুতেই এবার পড়তে চাননি তিনি। স্টার্কের বল আর খেলতেই হয়নি তাকে, দ্বিতীয় ওভারে উল্টো আউট হয়ে যান বৈভব আরোরার বলে। আউটস্যুয়িং করে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে তিনি ক্যাচ দেন কিপারের গ্লাভসে, গোল্ডেন ডাক। ৬ রানের মধ্যেই টুর্নামেন্টের সেরা দুই ওপেনার হারিয়ে দিশেহারা সানরাইজার্স আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

রাহুল ত্রিপাঠি আগের ম্যাচগুলোয় এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা রাখছিলেন, এবার তিনি ব্যর্থ। স্টার্কের বলে উড়াতে গিয়ে টাইমিং গড়বড় করে সোজা ক্যাচ তুলে বিদায় নেন (১৩ বলে ৯)।

উইকেট পতনের ধারা আর সামলাতে পারেনি সানরাইজার্স। নিতিশ রেড্ডি, এইডেন মার্করাম, শাহবাজ আহমেদ, ইমপ্যাক্ট বদলি নামা আব্দুল সামাদদের একে একে বিদায়ে ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। হেনরিক ক্লাসেন ছিলেন বলে তবু কিছু আশার খোঁজ ছিলো। ১৭ বলে ১৬ করে হারশিত রানার বল ভেতরে টেনে ক্লাসেন বোল্ড হতেই সেটাও হাওয়া।

ফাইনাল মঞ্চে মনোবল রেখে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ইনিংস সামান্য লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করলেও তা কোনভাবেই ছিলো না যথেষ্ট। রানে ভরা আইপিএলের চলতি মৌসুমের ফাইনালে রান খরায় ভুগেই একদম লড়াই করতে পারেনি হায়দরাবাদ।

Comments

The Daily Star  | English

Govt to unveil 'July Declaration' on August 5

It will be presented in presence of all stakeholders involved in the mass uprising at 5:00pm

1h ago