আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি জুনে পাওয়ার সম্ভাবনা

আইএমএফ ঋণের চতুর্থ কিস্তি
গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আগামী জুনের শেষ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটি দেশের ক্রমশ কমতে থাকা রিজার্ভকে স্বস্তি দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঋণের তৃতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি আগামী ২৪ বা ২৫ জুন অনুমোদনের জন্য আইএমএফের নির্বাহী বোর্ড সভায় তোলা হবে।

গত রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুনের মধ্যে কিস্তি পাওয়া যাবে।

গত বুধবার আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দেয়। দুই কিস্তিতে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পাওয়া গেছে।

তৃতীয় কিস্তি দেওয়ার বিষয়ে ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে আইএমএফ দল গত মাসে ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষ করে। এর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কর্মী-পর্যায়ে চুক্তি করে সংস্থাটি।

আইএমএফ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তৃতীয় কিস্তির ঋণ দেবে। রিজার্ভ সংক্রান্ত শর্ত ছাড়া বাংলাদেশ বাকি শর্তগুলো পূরণ করেছে।

গত ডিসেম্বরে দেশের নিট রিজার্ভ ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রাখার কথা ছিল। এটি এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কমেছে। এর ফলে আইএমএফকে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনতে হয়েছে।

সরকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। এর মধ্যে আছে মুদ্রা বিনিময় হারের পুনর্বিন্যাস, ক্রলিং পেগ গ্রহণ ও সুদের হার উদারীকরণ।

২০২২ সালে উচ্চ আমদানি বিল পরিশোধের কারণে রিজার্ভ অনেক কমে গেলে বাংলাদেশ আইএমএফের কাছে ঋণ চায়। সেসময় টাকার দাম অনেক কমে যাওয়ার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এটি স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেয়।

আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল বলছে, বাংলাদেশের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টের ৪১ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৮ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Govt employees protest at Secretariat May 2025

The right way to reform the public administration

Bangladesh needs a bureaucracy that serves its citizens with professionalism and integrity, not one driven by blind obedience.

10h ago