টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘কখনো মনে হয়নি হারতে পারি’, আম্পায়ারিং নিয়েও হতাশা হৃদয়ের

নিউইয়র্কে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে থামিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় একটা পর্যায়ে জেতার অবস্থা থেকে পা হড়কে ম্যাচ হেরে যায় ৪ রানে।
Towhid Hridoy

একদম কাছে গিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে হারতে হয়েছে ৪ রানে। রান তাড়ায় বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় বলেছেন, তার মনেই হয়নি তারা হারতে পারেন। আম্পায়ারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও হতাশা জানিয়েছেন তিনি। 

নিউইয়র্কে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে থামিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। রান তাড়ায় একটা পর্যায়ে জেতার অবস্থা থেকে পা হড়কে ম্যাচ হেরে যায় ৪ রানে।

১৭তম ওভারে দলের রান ছিলো ৯৪, ক্রিজে ছিলেন হৃদয়। ১৮ বলে ২০ রানের সমীকরণ আর মেলেনি। তখনই আউট হয়ে যান ৩৪ বলে ৩৭ করা হৃদয়। কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু দেখা যায় আম্পায়ার্স কলে কাটা পড়েছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে ডানহাতি ব্যাটার জানান আক্ষেপের কথা, 'কখনো মনে হয়নি এই ম্যাচ হারতে পারি। যেটা বললাম আমি যদি খেলাটা শেষ করতাম তাহলে দলের চিত্রটা ভিন্ন হতো। ঠিকাছে এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।'

হৃদয়ের মতে এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টও তার আউট, 'আমার মনে হয় আমার আউট টার্নিং পয়েন্ট। আমি যদি ওখানে খেলা শেষ করতাম তাহলে হারতাম না। তারা তো (শান্ত-সাকিব) অনেক আগেই হয়ে গেছে। আমি শেষ পর্যন্ত ছিলাম। আজকের খেলা আমি পারতাম জেতাতে, পারিনি।'  

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েও হচ্ছে সমালোচনা। যদিও তাতে নিয়মের ব্যতয় হয়নি।  ওটানিল বার্টম্যানের বলে মাহমুদউল্লাহকে দেওয়া এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে তখন চলে যায় বাউন্ডারি। রিভিউতে দেখা যায় বল স্টাম্প মিস করায় অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। রিভিউ সফল হলেও আগে আউট দেয়ায় বল ডেড হয়ে গেলে আইসিসির নিয়মের কারণেই আর বাউন্ডারি ফেরেনি। এই নিয়ম নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশার কথা আড়াল করেননি হৃদয়,,  'নিয়ম তো...আইসিসি কি করেছে সেটা আমাদের হতে নাই। আমি মনে করি আম্পায়ার কল (আউট) দিয়েছে। আম্পায়ারের ভুল হতেই পারে। ওরাও মানুষ। আমাদের আরও দুই-একটা ওয়াইড ছিলো যেগুলো দেয়নি। এখানে এরকম ভেন্যুতে খেলা। যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ সেই জায়গায় একটা দুইটা রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। আমার মনে হয় চারটা রান, দুইটা ওয়াইড খুব ক্লোজ কল ছিলো। আমার আউটটা আম্পায়ার্স কল ছিলো। এই জায়গাগুলো উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসি যেটা নিয়ম করেছে এটা হাত নাই।'

Comments

The Daily Star  | English

475 workplace deaths in 6 months: report

Of the total number, 250 transport workers died in this period, 74 died in service establishments (such as workshops, gas, electricity supply establishments), 66 in agricultural sector, 52 in construction, and 33 died in factories and other manufacturing institutes

47m ago