নাটোরে অটোরিকশা-ট্রাক সংঘর্ষে বিজিবি সদস্যসহ ২ জনের মৃত্যু

মানচিত্রে নাটোর
মানচিত্রে নাটোর। স্টার ফাইল ফটো

নাটোরের নলডাঙ্গায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

তারা হলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান (৬০) ও বিজিবি সদস্য মুক্তাদির আলম (৪৫)। এতে আহত হয়েছেন অটোরিকশা চালক ও অপর তিন যাত্রী।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নাটোর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাসুদেবপুর সাজিপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খলিলুর রহমান নওগাঁর বাসিন্দা। তিনি নওগাঁ সোনালী ব্যাংকের (অবসরপ্রাপ্ত) শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তাদির আলম মাগুড়া জেলার শ্রীপুর উপজেলার দরিগিলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নওগাঁ ব্যাটেলিয়ান-১৬ এ নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। 

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন খলিলুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগম (৪৫)। আহত চালকসহ অপর দুই যাত্রীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, পাঁচ যাত্রী বিকেলের দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে নওগাঁ থেকে নাটোরের উদ্দেশে আসছিলেন। পথে নাটোর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর সাজিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালকসহ ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক খলিলুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বিজিবি কর্মকর্তা মুক্তাদির আলমও মারা যান। 

নলডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনোয়ারুজ্জামান বলেন, নওগাঁ বিজিবিতে কর্মরত মুক্তাদির আলম তার মায়ের মৃত্যুর খবরে নিজ বাড়ি মাগুড়ায় যাওয়ার জন্য সিএনজিতে নাটোরে আসছিলেন এবং খলিলুর রহমান স্ত্রীকে নিয়ে নাটোর শহরের মল্লিকহাটি মহল্লায় তার শ্বশুরবাড়িতে আসছিলেন। এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করা গেলেও ঘটনার সময় থেকে চালক-হেলপার পলাতক রয়েছে।

নিহতদের মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago