কোটা আন্দোলনে বিএনপি ভর করেছে: ওবায়দুল কাদের

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপির অংশগ্রহণ আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

কোটা বাতিল আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে কিছু কথা বলেছেন। ওটাই তো আমাদের বক্তব্য। প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দেবেন, তিনি আমাদের পার্টিরও সভাপতি, সেটাই আওয়ামী লীগের বক্তব্য, সরকারের বক্তব্য।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি সকল প্রকার কোটা বিলুপ্ত করেছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করে। হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। সরকার কোটা বাতিলের দাবির প্রতি আন্তরিক বলেই অ্যাটর্নি জেনারেল আপিল দায়ের করেছেন।'

'যে বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তা নিয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করা আইনসিদ্ধ নয়…আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে চূড়ান্ত রায় দেবেন। উচ্চ আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে,' বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কোনো প্রকার উত্তেজনা, রাস্তাঘাট বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি পরিহার করা উচিত। বিশেষত এইচএসসি পরীক্ষার্থী, অভিভাবকদের অসুবিধা হয় যে কর্মসূচি, সে কর্মসূচি পরিহার করা দরকার।'

কোটা আন্দোলনে বিএনপির অংশগ্রহণ আছে দাবি করে তিনি বলেন, 'বিএনপি ও তাদের সমমনস্করা প্রকাশ্যে এই আন্দোলনে ভর করেছে, তারা প্রকাশ্যে সাপোর্ট করেছে। সাপোর্ট করার মানে তারা এর মধ্যে অংশগ্রহণও করছে। এটা এখন পোলারাইজড পলিটিকসের ধারার মধ্যে পড়ে গেছে। এটার পলিটিক্যাল কালার আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানে কারা কারা যুক্ত আছে, সেটা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি না সেটা আন্দোলনের গতিধারার মধ্যে বোঝা যাবে। সময়ের পরিবর্তনে সবকিছুই পরিষ্কার হবে, কোনোকিছুই হাইড করা সম্ভব না। আমরা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো পলিটিক্যাল পার্টি আন্দোলন করতে পারে না।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

6h ago