গাজা সিটিতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে ইসরায়েলি সেনা অভিযান শুরু
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা সিটিতে অবস্থিত ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠন ইউএনআরডব্লিউএ'র সদর দপ্তরে সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
ইসরায়েলের দাবি, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যালয়ের ভেতর সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এবং এই ভবনের কিছু কক্ষে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস জিম্মিদের আটকে রাখে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এর আগে এই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন হামাস সদস্যকে তারা হত্যা করেছে এবং এই ভবনের নিচে একটি সুড়ঙ্গ পথ ধ্বংস করেছে।
আইডিএফ নিশ্চিত করেছে, তারা অভিযান শুরুর আগে সেখান থেকে লাউডস্পিকারে বেসামরিক ব্যক্তিদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া, নিরীহ মানুষের যাতায়াতের সুবিধায় তারা একটি করিডর চালু করার কথা জানিয়েছে।
ভোরে হঠাত করে ইসরায়েলি বাহিনী এগিয়ে এলে গাজা সিটির পশ্চিমে, তাল আল-হাওয়া মহল্লায় বড় আকারে বোমাবর্ষণ শুরু হয়। যার ফলে বেশ কিছু পরিবার নিজ বাড়িতে আটকা পড়ে।
এ ছাড়া, গাজা সিটির পশ্চিমে আর-রেমাল মহল্লায় সড়কের মোড়ে ফ্লোরিয়া বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের ওপরের তলাগুলোতেও বোমাহামলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ব্যাংক অব ফিলিস্তিনের ভবনেও হামলা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে গত শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের আল–জাউনি বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭৫ জন আহত হন। নিহত হন অন্তত ১৬ জন।
এরপর রোববার অপর একটি স্কুলেও হামলা চালায় আইডিএফ।
হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজার বেসরকারি নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি সংস্থা জানিয়েছে, রোববার গাজা নগরীর হলি ফ্যামিলি বিদ্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, গাজা নগরীর ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হামাস যোদ্ধারা লুকিয়ে ছিলেন। সেই সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ে হামাসের জন্য গোপনে অস্ত্র বানানো হতো।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।
এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৯ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৮ হাজার ১৫৩। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ হাজার ৮২৮। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
Comments