কুষ্টিয়া মেডিকেলের ১০ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের ১০ নেতা পদত্যাগ করেছেন। পাঁচ নেতা লিখিতভাবে সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৬ জনের কমিটির পাঁচ সদস্য লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। সেখানে কেউ কেউ ব্যক্তিগত আবার কেউ সংকটকালীন সময়ের অজুহাত দেখিয়েছেন। এর বাইরে আরও পাঁচজন যোগাযোগ বন্ধ রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বলে শুনেছি। বাকিরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।'

'সংগঠনে কিছু ব্যক্তির আদর্শের ঘাটতি থাকতেই পারে। তারা সম্ভবত এই সংকটকালীন সময়টাকে মেনে নিতে পারছেন না। জামায়াত-বিএনপির যেমন অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীকে প্রভাবিত করে, একইভাবে তারাও প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারেন। তবে আমাদের সক্ষমতা আছে এই কমিটি নিয়েও ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার', যোগ করেন আকাশ।

পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদা হোসেন অরা, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, আবদুল্লাহ আল মামুন সৈকত, নিঝুম হায়দার ও জায়মা হোসেন।

পদত্যাগের বিষয়ে ফাহমিদা হোসেন অরা বলেন, 'আমি যে মতাদর্শ নিয়ে বড় হয়েছি, সেই মতাদর্শের সঙ্গে আমার সংগঠনের কোনো মিল নেই। আমার ভাইবোনকে যে সংগঠন মারছে, আমি কোনোভাবেই সেই সংগঠনকে ধারণ করতে পারি না। আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আরও যারা পদত্যাগ করেছেন, তারাও একই কারণে পদত্যাগ করেছে বলেই জানি।' 

এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আবির বলেন, 'সংগঠনে থাকা, না থাকার বিষয়ে প্রত্যেকের অধিকার আছে। কেউ যদি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে পদত্যাগ করেন, সেই অধিকারও তার আছে। কেউ যদি নৃশংস কোনো ঘটনায় মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন, তাহলে তার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তার আছে। আমি কাউকে পদত্যাগ করতেও বলছি না, থাকার জন্য জোরাজুরিও করছি না। আমি সংগঠনের সঙ্গে আছি। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Gaza civil defence says Israeli forces kill 23

Among the casualties were three children who were killed in an air strike on a home in Jabalia, northern Gaza

11m ago