জাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে বিজিবির অবস্থান। ছবি: স্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফারণ করে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

মামলায় মোট ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত শিক্ষার্থীদের আসামি করা হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩৯তম ব্যাচের সাবেক এক শিক্ষার্থী ও ৪০তম ব্যাচের সাবেক তিন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন উপপরিদর্শক শরীফ আহম্মেদ।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবীন রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী, অর্থনীতি বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর ও ইতিহাস বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিরনকে পর্যায়ক্রমে দুই, তিন, ও চার নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলা আরও আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থী নয় বলে জানা গেছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ১৫ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঘোষণা দিয়ে উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবন ঘেরাও করে। আসামিদের মধ্যে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্ররোচনা দেয়। রাত ১০টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা গেইটের তালা ভেঙে ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে দরজা-জানালা ভাঙচুর, গাছপালা নষ্ট ও গার্ডদের মারধর শুরু করে করে। ভিসি পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলে রাত ১টায় পুলিশ ভিসির বাসভবনের সামনে উপস্থিত হয়। এ সময় ছাত্রলীগ ভিসির বাসভবনের পাশের মাঠে অবস্থান নেয়। কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশ তাদেরকে মারছে বলে গুজব রটিয়ে আরও শিক্ষার্থীদের জড়ো করে। এ সময় ছাত্রলীগ ও কোটা আন্দোলনকারীদের মধ্য ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা ভিসির বাসভবন লক্ষ করে ইটপাটকেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বাসভবনের পাশে আগুন ধরিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারা ভিসির নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদ্যদের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি, সাভার মডেল থানার ওসি শাহজামান, আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ ও সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাশিদ আহত হন। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষার্থে ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশ দফায় দফায় শটগান থেকে ৪৬৪ রাউন্ড ও ৫৬টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) নির্মল কুমার দাস বলেন, মামলায় মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া কেউ শিক্ষার্থী নয়।

আশুলিয়া থানার ওসি এএফএম সায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় প্রাক্তন চার শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীকেও গ্রেপ্তার করা হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

59m ago