বাংলার ঘরে ঘরে সরকারের পদত্যাগের ধ্বনি উঠেছে: জোনায়েদ সাকি

বিজয়নগরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন জোনায়েদ সাকি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেছেন, 'বাংলার ঘরে ঘরে আজ এই সরকারের পদত্যাগের ধ্বনি উঠেছে। এই লড়াইটা চালাতে হবে।'

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীতে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

জোনায়েদ সাকি বলেন, 'সারাদেশ আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। শতশত শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে…সরকার এত লাশের মিছিল ঢাকতে পারছে না। ঢাকার জন্য তারা নানান রকম রাজনৈতিক কৌশল ব্যবহার করছে, বিরোধীদের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে।'

'একদিকে সরকার বলছে এ কাজ জামায়াত-শিবির করেছে, তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যদিকে আমরা দেখি তারা (সরকার) হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করছে যাদের ৮০ থেকে ৯০ ভাগের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নাই। রাজনৈতিক পরিচয়হীন শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করছে,' বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, 'সরকারের প্রতারণা আজকে পরিষ্কার। তারা সব আন্দোলনকে ধ্বংস করতে চায়, আন্দোলন ধ্বংস করতে আজ তারা সহিংসতার দায় চাপিয়ে যাচ্ছে, যেভাবে অতীতে করেছে।'

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টনে মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কর্মসূচি ছিল গণতন্ত্র মঞ্চের। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে সেখানে বিপুল পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। এমন অবস্থায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা তাৎক্ষণিক বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, 'আজ আমাদের শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে আমরা একটা সমাবেশ করার কথা বলেছিলাম। আজ পুলিশ কোনোরকম ন্যুনতম আইন-কানুনের ধার না ধেরে তারা যেভাবে পুরানা পল্টনে এলাকা কর্ডন করে রেখেছে, আগ্রাসী ভূমিকার মধ্য দিয়ে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করছে, আমাদের মাইক কেড়ে নিয়েছে, আমরা পুলিশের এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই।'

'আমরা পরিষ্কার করে বলি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সব বিরোধী দলগুলো আমরা নির্বাচনের আগের থেকেই এই সরকারের পদত্যাগ চেয়েছি। বাংলার ঘরে ঘরে এই সরকারের পদত্যাগের ধ্বনি উঠেছে। এই লড়াইটা চালাতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি জানান, বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র মঞ্চ সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

6h ago