‘বিদেশি করুণা ভিক্ষা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

'বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে দেশের সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে এখন প্রকাশ্যে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জনগণের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে দেশদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। অবিলম্বে তাকে বহিষ্কার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, নইলে এ বক্তব্য সরকার প্রধানের বক্তব্য হিসেবে প্রতীয়মান হবে।'

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এক পথসভায় এসব কথা বলেন নবগঠিত ৭ দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে ২৭ আগস্ট বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে আজ গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিতরণ ও পথসভা কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আজকের কর্মসূচিতে আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, হাসনাত কাইয়ুম, হাবিবুর রহমান ঋজু, রাশেদ খান, শহীদুল ইসলাম মাহমুদ স্বপন, আখতার হোসেন, বাচ্চু ভূঁইয়া এবং ইমরান ইমনসহ গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

লিফলেট বিলি করছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

পথসভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। সরকার তার লুটপাট-দুর্নীতির ব্যায়ভার জনগণের ওপর চাপাচ্ছে। সরকারের কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে, যার ফলে এখন বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা খাঁদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে। ফলশ্রুতিতে ডলারের সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আমরা অবিলম্বে এ পর্যন্ত অর্জিত মুনাফা ও কর সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি জানাই।

তারা বলেন, সারাদেশে চা শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাদেরকে ১৪৫ টাকা মজুরি দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। বর্তমানের এই বাজারে এই টাকা মজুরি হিসাবে প্রস্তাব করাই অমানবিক। আমরা অবিলম্বে চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতায় কারা থাকবে এটা দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে। রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করে আর বিদেশি করুণা ভিক্ষা করে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

বর্তমান সরকারকে 'ফ্যাসিবাদী' উল্লেখ করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর, অর্থাৎ শাসনব্যবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago