দেশে এত মানুষের প্রাণহানিতে হৃদয় ভেঙেছে: সায়মা ওয়াজেদ

সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত
সায়মা ওয়াজেদ, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।  

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে হতাশার কথা জানান।

তিনি সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে শোক প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'নিজের দেশ, ভালোবাসার দেশে এতো মানুষের প্রাণহানীতে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। এই সঙ্কটাপন্ন সময়ে আমি আমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না, তাকে আলিঙ্গন করতে পারছি না, এতেও আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।'

সায়মা ওয়াজেদ তার বার্তায় আরও উল্লেখ করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) হিসেবে তার দায়িত্বের প্রতি অঙ্গিকারবদ্ধ আছেন।

শুরুতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে বারবার সহিংসতার ঘটনায় এক পর্যায়ে আন্দোলনের দাবি 'এক দফায়' রূপান্তরিত হয়, যা হল, 'শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগ'।

৫ আগস্ট গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ভারতের উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে অবতরণের পর তাকে দিল্লির একটি অজ্ঞাত, সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে আসে ভারত সরকার।

মূলত সেনাবাহিনীর শেখ হাসিনার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে জানান, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

সরকার পতনের পর প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নাম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।

আজ দুপুরে ঢাকা পৌছাবেন তিনি। এরপর রাত ৮টা নাগাদ উপদেষ্টারা শপথ নিতে পারেন বলে জানা গেছে।  

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy in early 2025

According to the latest data from the United Nations High Commissioner for Refugees (UNHCR), 2,589 Bangladeshis landed in Italian shores in January and February this year while 1,206 went to the European country in the two months last year

1h ago