শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কোটালীপাড়া আ. লীগের বিক্ষোভ

শেখ হসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেশীয় অস্ত্রসহ বিক্ষোভ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। তাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয় উপজেলা পরিষদ এলাকা।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান নেতাকর্মীদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন দেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমাদের এই সংগ্রাম চলবে। আমরা রাজপথে আছি রাজপথেই থাকব।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেউ মনোবল হারাবেন না। আমাদের প্রিয় নেত্রী খুব শিগগির দেশে ফিরে এসে দলের হাল ধরবেন।

এর আগে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সব ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে সমাবেত হয়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড, পাইপ ও বৈঠা ছিল। সকাল ১১টায় মূল মিছিল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার মধ্যে উপজেলা পরিষদ মাঠসহ এর আশপাশের এলাকা পূর্ণ হয়ে যায়।

এ সময় গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের দুই পাশে যানবাহন আটকা পড়ে।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহাবুদ্দিন আজম, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নিখিল দত্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেব দুলাল বসুসহ অন্যরা।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

2h ago