ইউক্রেনে রুশ ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৫১

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এটাই সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
পোলতাভার এই সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। ছবি: এএফপি
পোলতাভার এই সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোলতাভা শহরের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও হাসপাতালে রুশ ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৫১ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৭০ জন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর এটাই সবচেয়ে মারাত্মক আক্রমণ বলে জানিয়েছে কিয়েভ।

গতকাল মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দৈনিক সান্ধ্যকালীন ভাষণে এই আক্রমণের কথা জানান। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

রাশিয়ার এই আক্রমণের পর ইউক্রেনের সামাজিক যোগাযগমাধ্যমে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। রাশিয়ার সামরিক ব্লগাররা বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জনসম্মুখে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানকে লক্ষ্য করেই হামলা চালায় রাশিয়া।

এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনীয় ব্লগাররা প্রশ্ন তুলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করে প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নিলো সেনা কর্তৃপক্ষ?

শহরের গভর্নর ফিলিপ প্রোনিন বলেছেন, উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেখছে তার নিচে আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা।

জার্মানির নিন্দা

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক রাশিয়ার এই আক্রমণের নিন্দা করে বলেছেন, 'পুতিন নৃশংসতার সব সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। এই আক্রমণের দায় তাকে নিতে হবে।'

জেলেনস্কির সরকারে রদবদল

পোলতাভার এই সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। ছবি: এএফপি
পোলতাভার এই সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। ছবি: এএফপি

ইউক্রেনে স্পিকারের অফিস জানিয়েছে, তিন মন্ত্রী ও সেনাবাহিনির এক ডেপুটি চিফ তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এ সপ্তাহে সরকারে বড় রদবদল হবে। অর্ধেকের বেশি মন্ত্রী বা তাদের কর্মকর্তাদের বদল করা হবে।

এপি, এএফপি, রয়টার্স

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago