নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিবকে পেটালেন দলীয় কর্মীরা

মারধরের একটি ভিডিওতে টিপুকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা যায়।
মারধরের শিকার আবু আল ইউসুফ খান টিপু বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দলীয় কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আজ শুক্রবার বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এই বিএনপি নেতা বর্তমানে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ও বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে অনুসারীদের নিয়ে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। পথে নবীগঞ্জ এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন।

মারধরের একটি ভিডিওতে টিপুকে রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা যায়।

আহত অবস্থায় টিপুকে শহরের খানপুর এলাকার নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ হামলার পেছনে মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) আতাউর রহমান মুকুল ও সাবেক সভাপতির ছেলে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশার ইন্ধন রয়েছে।'

তবে অভিযুক্তরা বলছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করায় দলের একদল সংক্ষুব্ধ কর্মী আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে মারধর করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পোশাককর্মী মিনারুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় গত মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন মিনারুলের ভাই নাজমুল হক। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি আসামি করা হয় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলকে। এ মামলায় তাকে জড়ানোর পেছনে সাখাওয়াত ও টিপুর ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুকুল।

যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আতাউর রহমান মুকুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টিপুর তো মাইর খাওয়ার কথাই ছিল। সে দলের নেতাকর্মীদের হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিল। অনেক নেতাকর্মী তার ওপর ক্ষুব্ধ। তাদেরই কেউ আজকে তাকে মারধর করেছে। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই।'

আরেক অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাউসারও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তবে, চাঁদা দাবির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে টিপুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago