আমাকে হয়তো দলের সঙ্গে ভারতে নেওয়া হবে: ইবাদত

Ebadot Hossain
ইবাদত হোসেন। ফাইল ছবি: স্টার

হাঁটুর চোটে গত বছরের জুলাই থেকে মাঠের বাইরে পেসার ইবাদত হোসেন। এখনও পুরো ফিটনেস ফিরে পাননি। তাই অনুশীলনে ফিরলেও মেলেনি শতভাগ দিয়ে বোলিংয়ের অনুমতি। তবে বাংলাদেশ দলের আসন্ন ভারত সফরের বহরে থাকতে পারেন তিনি। এক বছরের বেশি সময় না খেলতে পারার আফসোস সঙ্গী করেই মাঠে নামতে আছেন মুখিয়ে।

দারুণ ফর্মে থাকাকালীন গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে চোটে পড়েন ইবাদত। পরের মাসে অস্ত্রোপচার করাতে হয় তার হাঁটুতে। এরপর দীর্ঘ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বোলিংয়ে ফিরলেও পূর্ণ ছন্দে বোলিংয়ের অনুমতি এখনও পাননি।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে চোটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমকে ইবাদত বলেন, 'আমাকে ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করছি। এখনও শতভাগ দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমি ৭০-৮০ ভাগের কাছাকাছি দিয়ে বোলিং করছি।'

ভারত সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইবাদতের খেলার সম্ভাবনা ভীষণ ক্ষীণ। ৩০ বছর বয়সী এই পেসারকে অবশ্য বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নেওয়া হতে পারে। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি, 'আমাকে হয়তো দলের সঙ্গে ভারতে নেওয়া হবে। সেখানে আমার বোলিং সমর্থনটা পাব। ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার সব ধরনের সহযোগিতা পাব। দলের পর্যবেক্ষণে থাকব। এজন্যই হয়তো আমাকে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে। এরপর ওরকম মনে হলে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে।'

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে খেলায় ব্যস্ত থাকবে বাংলাদেশ। অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে ফিটনেসের উন্নতি না হলে ইবাদতকে মাঠের বাইরে সময় কাটাতে হবে। সেক্ষেত্রে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেটের জার্সিতে তাকে দেখা যেতে পারে।

এই প্রসঙ্গে ইবাদতের ভাষ্য, 'আমি তো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। এজন্য ফিটনেসটা শতভাগ অর্জন করতে হবে। ফিটনেসটা ওইভাবে যদি উন্নতি হয়, ম্যানেজমেন্ট যদি যথেষ্ট সন্তুষ্ট থাকে, যদি ওইখানে (ভারত) খেলিয়ে দেয়, তাহলে খেললাম। যদি না হয়, তাহলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে, সেগুলো খেলব।'

২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ছিলেন ইবাদত। সুস্থ থাকলে পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা দলের অংশ থাকতে পারতেন। এটা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও সামনে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় আছেন তিনি, 'অবশ্যই আফসোস হয়। প্রায় ১৩ মাস আমি খেলার বাইরে। এমন একটা চোটে পড়েছি, সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় নিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। মনে হয় না আর বেশি দিন লাগবে সুস্থ হতে। আমিও খেলব, ভালো করার চেষ্টা করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

31m ago