গণপিটুনির পুনরাবৃত্তি রোধে নাগরিকদের সহযোগিতা চাইল পুলিশ

পুলিশ সদর দপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

গণপিটুনিতে একের পর এক মানুষ হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তর এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দেশের সব সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা চেয়েছে।

আজ শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সম্প্রতি কোথাও কোথাও গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংস ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধরনের মব জাস্টিস কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।'

কেউ অন্যায় করলে বা অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বিচারের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। কোনো ব্যক্তি অন্যায় এবং অপরাধ করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে; কোনভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।'

কেউ অন্যায় কিংবা অপরাধ করলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জানাতে কিংবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, 'মব জাস্টিস বা গণপিটুনির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স দেশের সকল সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছে।'

গত ৫ অগাস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে টানা সাড়ে ১৫ বছর পরাক্রম দেখিয়ে শাসন করা আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু দেড় মাসেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি। হামলা, মারামারি, খুনোখুনি চলছেই।

গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে রাজশাহীর বিনোদপুর বাজারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে মোল্লা শামীমকে ফটক থেকে ধরে নিয়ে কয়েক দফা পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।

একই দিনে একই কায়দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে পিটিয়ে মারা হয় 'মানসিক ভারসাম্যহীন'  তোফাজ্জল হোসেনকে।

এসব ঘটনায় হতভম্ভ মানুষ শিউরে উঠেছে, চাইছে বিচার। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ছড়াচ্ছে ক্ষোভও।

এর ভেতরেই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তি এলো।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago