ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বৃষ্টি

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল থেকে ঢাকায় এসে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগী লামিয়া। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

দেশে ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এর মধ্যে বৃষ্টির কারণে এই রোগের ঝুঁকিও আরও বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টি ও উচ্চ আর্দ্রতা ডেঙ্গু ভাইরাসের পরিচিত বাহক এডিস মশার প্রজননের জন্য খুবই উপযোগী। এ ধরনের আবহাওয়া তাদের কামড়ানোর প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে গতকাল সকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৭ হাজার ৭০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে অর্ধেকই আক্রান্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরে। আর এই মাসে মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬০।

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অক্টোবরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের নেতৃত্বে মাঠপর্যায়ের এক জরিপে রাজধানীতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি দেখা গেছে।

জরিপকারীরা ডেঙ্গু জ্বরের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ব্রেটো সূচক (বিআই) ব্যবহার করছেন, যা একটি প্রাথমিক সতর্কতা সংকেত। তারা উত্তরা, গুলশান-বনানী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলীর পাঁচটি সেন্টিনেল সাইট পর্যবেক্ষণ করে বিআই ৩৩ থেকে ৯৩ এর মধ্যে পেয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিআই ২০ এর বেশি হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

অধ্যাপক বাশার বলেন, যেহেতু গত আগস্টে বিগত সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অপসারণ করা হয়েছে, এখন যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

চলমান বৃষ্টিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে করেন কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর এ চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা এখন অনেকটাই অনুপস্থিত। কারণ মানুষ বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছে। যেহেতু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে, তাই তাদের খুব সচেতন হতে হবে।'

মঞ্জুর আরও বলেন, যদি আবহাওয়ার এই ধরন (উচ্চ আর্দ্রতা ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত) অব্যাহত থাকে, তবে অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে উঠবে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন Rain to raise dengue risk

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

46m ago