দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা

স্টার ফাইল ফটো

আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হকের সই করা এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। 

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. দূর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র‍্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

২. যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি রাখতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাত হলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে হবে।

৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিকে পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ৩ জন এবং রাতে ৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে।

৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৭. দুর্গাপূজা উপলক্ষে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, র‍্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে।

৮. হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের গণ্যমান্য ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এ কমিটি গঠন করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago