রংপুরে অতিবৃষ্টিতে শাক-সবজি খেতের ক্ষতি, বেড়েছে দাম

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সবজি খেতে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: এস দিলীপ রায়

অতিবৃষ্টিতে রংপুর ও আশপাশের জেলাগুলোয় শাক-সবজি খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ কমে বেড়েছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি শাক-সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে সবজি ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন এখন তা কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। যে শাক কিনেছিলেন ২০ টাকায় তার দাম এখন ৩০ টাকা। বাজারে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে।

লালমনিরহাট শহরের গোশালা বাজারে আসা ভোক্তা মজিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে শাক-সবজি কিনতে দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে বেঁচে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে পড়বে।'

গোশালা বাজারে সবজি বিক্রেতা সুর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অতিবৃষ্টিতে শাক-সবজি উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরাও কৃষকদের কাছ তেকে বেশি দামে কিনছেন। বাজার স্বাভাবিক হতে দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের কৃষক সুরেন চন্দ্র সেন চার বিঘা জমিতে শাক-সবজি চাষ করেছিলেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এক সপ্তাহ আগেও জমি থেকে দৈনিক ৪০-৫০ কেজি শাক-সবজি সংগ্রহ করা যাচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমেছে। জমিতে থাকা সবজি নষ্টও হয়েছে। এখন প্রতিদিন ১৮-২০ কেজির বেশি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সবুর আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বৃষ্টির কারণে তার এক বিঘা জমির শাক-সবজি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও তিন বিঘা জমিতে শাক-সবজি থাকলেও উৎপাদন কমেছ। বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। তবে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের প্রস্তুতি রয়েছে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত খেতে আবার সবজি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা। কয়েকদিন পর বাজারে পর্যাপ্ত সবজি সরবরাহ শুরু হলে দাম কমবে।

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

8h ago