অকল্পনীয় বিজয় এনেছে ছাত্র-জনতা, সবাই যেন মিলেমিশে থাকে: হেলাল হাফিজ

‘বারবার রক্ত না, এবারের রক্তের ত্যাগে যেন দেশ সুন্দর হয়।’
কবি হেলাল হাফিজ। ছবি: সংগৃহীত

'শেষ সময়ে আছি, লাস্ট-স্টেজ বলা যায়। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। শরীর অনেক নাজুক হয়ে গেছে আমার। একেবারে শয্যাশায়ী। আমি একদম ভালো নেই।'

৭৭তম জন্মদিনে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন কবি হেলাল হাফিজ।

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত। পাশাপাশি কিডনি, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতার মতো নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছি।'

মাত্র দুটি কবিতার বই দিয়েই হেলাল হাফিজ জয় করেছেন অজস্র পাঠকের হৃদয়। বলা যায়, 'ভালো লাগা' একাকীত্বকে সঙ্গী করেই কেটে যাচ্ছে তার জীবন। নানাবিধ রোগে ভুগতে থাকা কবি এখন অনেকটা শয্যাশায়ী। বর্তমানে আছেন শাহবাগের একটি হোটেলে। গত কয়েক বছর ধরে এখানেই থাকছেন তিনি।

প্রশ্ন করেছিলাম, কিছু খেতে মন চায়? জবাবে বলেন, 'কিছু খেতে মন চায় না। চাইলেও সব খেতে পারি না। ডায়াবেটিস থাকায় খাবারটা বুঝেশুনেও খেতে হয়।'

জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, 'অকল্পনীয় বিজয় এনেছে আমাদের ছাত্র-জনতা। এখনো এটা অবিশ্বাস আমার কাছে। তবে একটা অনুরোধ, বারবার রক্ত না, এবারের রক্তের ত্যাগে যেন দেশ সুন্দর হয়। সবাই যেন মিলেমিশে থাকে। মানুষের অধিকার যেন রক্ষা হয়। যে ক্ষমতায় আসে সে যেন এই খেয়াল রাখে।'

কেউ যদি আপনার মতো জীবন চায়…। বলতেই তিনি বললেন, 'না, এটা ভুল করবে। হজম করতে পারবে না এতো বেদনা। আমি নিজেও নিজের প্রতি অন্যায় অবিচার করেছি। কেউ যেন এমন না করে। জীবনের আয়ু সঠিক পথে ব্যয় করে। সময় খুব মূল্যবান।'

জনপ্রিয় এই কবি ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তার প্রথম কবিতার বই 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

23m ago