গাজার অবস্থা বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের মতো: নিহন হিদানকায়োর সহ-সভাপতি

জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সংগঠন নিহন হিদানকায়োর সহসভাপতি তশিয়ুকি মিমাকি। ছবি: রয়টার্স

গাজার বর্তমান অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের মতো বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকায়োর সহ-সভাপতি তশিয়ুকি মিমাকি। শুক্রবার পুরষ্কার গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের।

পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার উদ্যোগ ও প্রচারণার স্বীকৃতি হিসেবে এবছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছে নিহন হিদানকায়ো। হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গেছেন, তাদেরকে নিয়ে পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছে সংগঠনটি।

শুক্রবার পুরস্কার গ্রহণকালে অশ্রুসিক্ত হয়ে গাজার প্রসঙ্গ তোলেন মিমাকি। তিনি বলেন, 'গাজার দিকে তাকান। রক্তাক্ত শিশুর দেহ ধরে আছেন বাবা-মায়েরা। এটা তো ৮০ বছর আগের জাপানের মতোই। হিরোশিমা-নাগাসাকির শিশুরা তাদের বাবাকে হারিয়েছে যুদ্ধে, মাকে হারিয়েছে বোমা হামলায়।'

পারমানবিক বোমা থেকে রক্ষা পাওয়া মিমাকি সম্ভাব্য পারমানবিক বোমার ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেন। তিনি বলেন, 'পারমানবিক বোমার জন্য পৃথিবী শান্তিতে থাকে, এই কথাও বলা হয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরাও পারমানবিক বোমা ব্যবহার করতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করতে পারে, ইসরায়েল গাজায় ব্যবহার করতে পারে।'

জেনেভা-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড গত এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, তখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৭০ হাজার টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল।

মার্কিন জ্বালানি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মোট ৩৬ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago