মৌলভীবাজারে বিনা লাভের বাজার

ছবি: স্টার

মৌলভীবাজারে বিনা লাভের বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত এই বিপণন কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

আজ মঙ্গলবার শহরের সমশেরনগর পয়েন্টে দেখা যায় ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে সেখানে ভিড় করেছেন। সাধারণ বাজার থেকে প্রতিটি পণ্যের দাম প্রায় ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

রিকশাচালক মিফতা মিয়া বলেন, বন্যার কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক চড়া। স্থানীয় বাজারেই সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-৪০ টাকা বেড়েছে। তবে এখানে কম দামে সবজি পেয়ে আমি অনেক সবজি কিনেছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক জাকারিয়া ইমন জানান, ভোক্তারা যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তাই  ভোক্তাদের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পাইকারি বাজার থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের মূল্যের ব্যবধান কমেছে। আমরা মোট ১৫টি পণ্য বিক্রি করছি। আলু, বেগুন, শশা, লাউ, কাচামরিচ, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

এখানে ধনে পাতা কেজি ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, মরিচ কেজি ১৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, নিম্নবিত্তের জন্য এটি বেশ বড় একটি উদ্যোগ। তবে কৃষিপণ্যের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ বিক্রি করা হলে দরিদ্র মানুষ আরও উপকৃত হতো।

গীজাপাড়া এলাকার গৃহিণী সেতেরা বেগম বলেন, বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। কয়েক বছর আগে ৩০০ টাকায় ব্যাগ ভর্তি হলেও এখন হাজার টাকাতেও হচ্ছে না। প্রত্যেকটা পণ্যের মূল্য কয়েকগুণ বেড়েছে। দাম কমার তো কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নিয়মিত বাজার তদারকি করে যেন দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হয় সেই দাবি করি।

সবজির বাজারে আসা আব্দুল আলীম বলেন, আমি শহরে থাকি। আমার বাবা গ্রামে সবজি আবাদ করেন। এত শ্রম ও কষ্ট করার পর বাবা যে দামে সবজি বিক্রি করে, বাজারে এসে দাম কখনও কখনও দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। এটা সম্পূর্ণ নজরদারির ব্যর্থতা। আর এই ব্যর্থতা আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের জীবনকে কষ্টের করে তুলছে।

তিনি বলেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে কিছু মানুষ কেজিপ্রতি প্রায় ২০ টাকা কম দরে সবজি কিনতে পারছেন।

বাজারে আসা আকমল হোসেন নিপু জানান, অন্য বাজারের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিটি পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। এটা ভালো ‍উদ্যোগ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Japan for concluding EPA soon to boost economic, trade ties

Japanese PM Ishiba described Bangladesh as a long-standing friend and said that Japan would stand by Bangladesh in its endeavour for a democratic transition

45m ago