অধ্যক্ষকে অপসারণে রংপুর মেডিকেলে ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রমেক, অপসারণের দাবি, মানববন্ধন,
ফাইল ছবি

রংপুর মেডিকেল কলেজে (রমেক) নতুন অধ্যক্ষ ডা. মো. মাহফুজার রহমানের অপসারণের দাবিতে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকেরা।

রমেকের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।'

এর আগে, গতকাল কলেজ ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে একটি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ডা. মাহফুজার রহমানের অপসারণের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

এই সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে বা তাকে অপসারণ করা না হলে মঙ্গলবার থেকে চিকিৎসক ও কর্মচারীদের একটি অংশ কর্মবিরতি পালন শুরু করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

সমাবেশে সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম মণ্ডল মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোর বিভাগে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, 'তাদের দাবি পূরণ না হলে বুধবার থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করা হবে।'

ডা. শরিফুল ইসলাম মন্ডল অভিযোগ করেন, 'ডা. রহমান 'ফ্যাসিস্ট' কৌশলের মাধ্যমে এই পদে এসেছেন এবং তিনি অতীতে ছাত্র আন্দোলন দমনে ভূমিকা রেখেছিলেন। শহীদ আবু সাঈদের হত্যার ফরেনসিক রিপোর্ট পরিবর্তনে চিকিৎসকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন তিনি।'

ডা. মাহফুজার রহমানের নিয়োগের বিরোধিতা করে গত ৩০ অক্টোবর বুধবার থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়। তখন বিক্ষোভকারীরা তার অফিসে তালা লাগিয়ে দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ডা. মাহফুজার রহমান যখন উপাধ্যক্ষ ছিলেন, তখন তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন।

পরে রোববার রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে পাল্টা মানববন্ধনে ডা. মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়। 'প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সচেতন রংপুরবাসী' ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, 'এ ধরনের অভিযোগ তুলে ডা. মাহফুজার রহমানের নিয়োগে বাধা দেওয়া মেধার বিরুদ্ধে এক ধরনের বৈষম্য।'

গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির মাধ্যমে ডা. মাহফুজার রহমানকে উপাধ্যক্ষ থেকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

8h ago