ভাঙ্গায় ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫

প্রতীকী ছবি | স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। 

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ১২ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরইবাড়ি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তালুকদার গ্রুপ ও খান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

এলাকাবাসী জানায়, তুজারপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সরইবাড়ি গ্রামে বাবুল তালুকদার ও কবির খানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। 

এ বিরোধকে কেন্দ্র করে আজ সকালে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের কয়েকশ লোক রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

তালুকদার গ্রুপের আবু জাফর হাওলাদার (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সপ্তাহখানেক আগে খান গ্রুপের লোকজন আমাদের লোকজনের পুকুরের মাছ লুট করে। এরপর আমরা মামলা করি। পরে তারা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এর জেরে আজ সকালে আমাদের ওপর আক্রমণ করে।'

খান গ্রুপের শরীফ খান বলেন, 'প্রায় ১০-১২ দিন আগে তালুকদাররা আমাদের মহিউদ্দিনকে গ্রামের পথে পেয়ে মারধর করে। গত শনিবার তারা সরইবাড়ি গ্রামে আমাদের লোকেদের ২-৩টি দোকান ভাঙচুর করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছিল। আজ সকালে তাদের কয়েকজন আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে।'

ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তুজারপুর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে তালুকদার ও খান গ্রুপের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি বা কাউকে আটক করা হয়নি।'
 

Comments