বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থা নিয়োগের সুপারিশ

অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ইআরডি, বিদেশি ঋণ,

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে স্বাক্ষরিত বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন চুক্তি পর্যালোচনায় সহায়তার জন্য একটি স্বনামধন্য আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি।

আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি রেজুলেশনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই সুপারিশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য চুক্তিগুলো আরও বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটির সময় প্রয়োজন। পর্যালোচনা কমিটি এমন প্রমাণ সংগ্রহ করছে, যা আন্তর্জাতিক সালিশি আইন ও কার্যধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তি পুনর্বিবেচনা বা বাতিল করতে পারে।

পর্যালোচনা কমিটি জানায়, 'এটি করার জন্য, কমিটিকে সহায়তা করতে এক বা একাধিক শীর্ষ মানের আন্তর্জাতিক আইন ও তদন্তকারী সংস্থাকে অবিলম্বে যুক্ত করার সুপারিশ করছি।'

কমিটি জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করতে চায়, তদন্তগুলো আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আলোচনা ও সালিশে গ্রহণযোগ্য হবে।

পর্যালোচনা কমিটি বর্তমানে বেশ কিছু চুক্তির বিস্তারিত তদন্তে কাজ করছে। এর মধ্যে আছে- আদানি (গোড্ডা) বিআইএফপিসিএল ১২৩৪.৪ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৩৩৫ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জে ১৯৫ মেগাওয়াট গ্যাস বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁশখালী ৬১২ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৫৮৩ মেগাওয়াট ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেঘনাঘাট ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস/এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

Comments

The Daily Star  | English

Why landscape-based knowledge is critical for Bangladesh

How will we build the country without landscaping knowledge?

16h ago