জয়সওয়াল-কোহলির সেঞ্চুরিতে বিশাল লক্ষ্য পাওয়া অস্ট্রেলিয়া কাঁপছে

ছবি: এএফপি

তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের পর সেঞ্চুরি হাঁকালেন অভিজ্ঞ তারকা বিরাট কোহলি। ১৫ ইনিংসের ব্যবধানে তিনি শতরান স্পর্শ করতেই ইনিংস ঘোষণা করল ভারত। তাতে পার্থ টেস্টে জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্য সামনে পেল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রীতিমতো কাঁপছে তারা।

রোববার সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানের লিড ছিল তাদের। সব মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩৩ রান।

এরপর দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৪.২ ওভারে ১২ রান করতেই ৩ উইকেট খুইয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার উসমান খাওয়াজা অপরাজিত আছেন ৯ বলে ৩ রানে। আগামী দুই দিনে আরও ৫২২ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের। জিততে হলে অবশ্য গড়তে হবে রেকর্ড। টেস্ট ইতিহাসে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ জয়ের কীর্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। তারা ২০০৩ সালে অজিদের বিপক্ষেই ৪১৮ রানের লক্ষ্যের পেছনে ছুটে জিতেছিল।

ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাঁহাতি জয়সওয়াল খেলেন ১৬১ রানের ইনিংস। ২৯৭ বল মোকাবিলায় ১৫ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। লোকেশ রাহুলের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২০১ রানের। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। রাহুল ১৭৬ বলে ৫ চারের সাহায্যে করেন ৭৭ রান।

ডানহাতি কোহলি স্বাদ নেন এই সংস্করণে ৩০তম সেঞ্চুরির। তিনি অপরাজিত থাকেন ঠিক ১০০ রানে। ১৪৩ বল খেলা কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ২ ছক্কা। এই সংস্করণের ক্রিকেটে অজিদের মাঠে কোহলির এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। ভারতের আর কোনো ব্যাটারের এতগুলো শতক নেই অস্ট্রেলিয়ায়। কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের সেঞ্চুরি ছিল ছয়টি।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সফরকারী অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহর ছোবলে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। অভিষিক্ত ওপেনার ন্যাথান ম্যাকসুয়েনিকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। ডানহাতি পেসার দিনের শেষ বলে ফেরান মার্নাস লাবুশেনকে। দুজনই হন এলবিডব্লিউ। মাঝে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে বিদায় করেন মোহাম্মদ সিরাজ।

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago