টোকিওতে ৩ দিনের সাপ্তাহিক ছুটি: সাধারণ জাপানিদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

Tokyo
জাপানের রাজধানী টোকিও শহরের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

টোকিও মেট্রোপলিটন গভর্নর কোইকে ইয়ুরিকো মহানগর সরকারি কর্মচারীদের জন্য ২০২৫ অর্থবছর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি তিনদিন ঘোষণা করেছেন। এই নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

গভর্নর গত বুধবার এক নীতিনির্ধারণী বক্তৃতায় বলেন, কর্মজীবী মায়েদের সহায়তা ও রেকর্ড নিম্ন জন্মহার বৃদ্ধি করতেই নতুন এই উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাজের ধরন পর্যালোচনা করব এবং এমন ব্যবস্থা নেবো, যাতে কাউকে ক্যারিয়ার ছাড়তে বাধ্য হতে না হয়।

জন্মহার বাড়ানোর জন্য দেশ ছুটি বাড়ানো ছাড়াও আরও অনেক উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তরুণ-তরুণীদের বিবাহে উদ্বুদ্ধ করা ও সন্তান জন্মদানে আগ্রহী করার নানা আয়োজন। বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার খরচ দেওয়ার প্রস্তাবও দিচ্ছে দেশটির সরকার।

জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত বছর জাপানে প্রজনন হার এক দশমিক দুই শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে দুই দশমিক এক শতাংশ জন্মহার প্রয়োজন। গত বছর দেশটিতে মাত্র সাত লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ শিশুর জন্ম হয়েছে।

জাপানের এই নীতিমালা শুধু দেশটির নয়, বৈশ্বিক কর্মসংস্কৃতিতেও অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করেন একটি শ্রেণী। তাদের মতে, পশ্চিমা দেশগুলোতে চার দিনের কর্মসপ্তাহের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জাপানের এই উদ্যোগ কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য আনতে মাইলফলক হতে পারে।

অপরদিকে, স্বল্প আয়ের মানুষ মনে করছেন, কোইকের এই ঘোষণা 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা'র মতো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যেখানে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে অতিরিক্ত ছুটি মাসিক আয়ে অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করবে।

তাদের মতে, ছুটি মানে পরিবার নিয়ে বের হওয়া, স্ত্রী সন্তানদের বাড়তি আবদার পূরণে অর্থনৈতিক চাপ। আর সাপ্তাহিক ছুটি তিনদিন মানে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া।

এ ছাড়া, তারা মনে করেন, সন্তান জন্মদানের জন্য অতিরিক্ত সময়-সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারচেয়ে বেশি প্রয়োজন দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং শিক্ষা ব্যয় কমানো। এই খরচ থেকে বাঁচতেই তাদের মাঝে সন্তান নেওয়ায় অনীহা তৈরি হয়েছে।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

7h ago